৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৫,১০৫ জন নিহত এবং ৬২,৬৮১ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯। এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না।
২৪ ঘণ্টায় নিহত ১৯০, গাজায় একদিনে সর্বোচ্চ ফিলিস্তিনির মৃত্যু
২৩ জানুয়ারি ২০২৪
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের নৃশংস হামলায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৯০ জন নিহত হয়েছেন। গাজায় ইসরাইল-হামাসের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই এটাই একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা।
গাজায় লড়াই থামার কোনো লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না। ইসরাইলের রিজার্ভ মেজর-জেনারেল ইয়াল বেন-রিউভেন মারিভ পত্রিকাকে বলেছেন, হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধ হবে ‘কঠিন’। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ২৫,১০৫ জন নিহত এবং ৬২,৬৮১ জন আহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরাইলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯। এদিকে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের বিরোধিতায় কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি বারবার জোর দিয়ে বলেছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হবে না। তার এমন মন্তব্যের পরই গাজা এবং পশ্চিমতীরে নতুন করে হামলা বেড়ে গেছে। এদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, দ্বি-রাষ্ট্রিক সমাধানের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইল স্পষ্টভাবেই ভিন্ন চিন্তা করছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে স্থল অভিযান পরিচালনা করছে ইসরাইল। বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে। এই যুদ্ধে ইসরাইলের নিয়মিত সেনা ছাড়াও রিজার্ভ সেনারা অংশ নিয়েছে। বাদ পড়েনি নারীরাও। সংবাদমাধ্যম এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা যুদ্ধে ইসরাইলি নারীরা বড় ভূমিকা পালন করছে।
যুদ্ধ বন্ধ, জিম্মি মুক্তি নিয়ে হামাসের প্রস্তাব নাকচ করলেন নেতানিয়াহু :
গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার, বন্দি মুক্তি এবং গাজার শাসনভার হামাসের হাতে ছেড়ে দেয়ার বিনিময়ে যুদ্ধ বন্ধ করাসহ জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার হামাসের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমাদের জিম্মিদের মুক্তি দেয়ার বিনিময়ে হামাস যুদ্ধ বন্ধ করা, গাজা থেকে ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহার করা এবং সব খুনি-ধর্ষকদের মুক্তি দাবি করছে। গাজায় হামাসকে অক্ষত অবস্থায় ছেড়ে যেতে বলছে তারা। ‘হামাসের দানবদের এ আত্মসমর্পণের পরিভাষা আমি পুরোপুরিভাবে প্রত্যাখ্যান করছি। আমরা এই শর্ত মানলে আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারব না। ঘরছাড়া মানুষদের তাদের ঘরে নিরাপদে ফিরতে দিতে পারব না। আরেকটি ৭ অক্টোবর তখন কেবল সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে।’
এর আগে গতবছর নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র,কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতায় ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে হওয়া চুক্তির আওতায় হামাসের হাতে ইসরাইল থেকে ধরে এনে গাজায় জিম্মি করা ২৪০ জনের মধ্য থেকে ১০০’রও বেশি জনকে মুক্তি দেয়া হয়েছে ইসরাইলি জেলে বন্দি থাকা ২৪০ ফিলিস্তিনির বিনিময়ে। তখন থেকেই বাকি ১৩৬ জিম্মির মুক্তির জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের সম্মুখীন হয়ে আসছেন নেতানিয়াহু। জিম্মিরা এবং নিখোঁজ পরিবারগুলোর ফোরাম এক বিবৃতিতে এই দাবি করেছে যে, ‘বেসামরিক নাগরিক, সেনা এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হাতে অপহৃত হওয়াদের ইসরাইল পরিত্যাগ করবে না সেটি নেতানিয়াহুকে স্পষ্ট করে বলতে হবে।’ সূত্র : বিবিসি, আল-জাজিরা।
We hate spam as much as you do