সিবিআই এদিন দাবি করেছে, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে থাকা সায়গল অনুব্রতর দেহরক্ষী হওয়ার পর প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন। কলকাতার নিউটাউন, বোলপুর–সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ফ্ল্যাট, জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি রয়েছে।
অনুব্রতর দেহরক্ষী ১০০কোটির মালিক সায়গল অভিযুক্ত। দু’বার সিবিআই হেফাজত থেকে জেল
দু’বার সিবিআই হেফাজতের পর অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের এবার জেল হেফাজত হল।
গরু পাচার মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছে সিবিআই আদালত। শুক্রবারই সায়গলের দ্বিতীয় দফার সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তাঁকে আসানসোলের সিবিআই আদালতে তোলা হয়। বিচারক জানিয়েছেন, আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ দিন জেল হেফাজতে থাকবেন অনুব্রতর দেহরক্ষী। জেল হেফাজতে থাকাকালীন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করতে পারবে সিবিআই। এটা ঘটনা, ১০ জুন প্রথম বার সিবিআই আদালতে তোলা হয় সায়গলকে। শুনানির পর তাঁকে সাত দিনের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। ১৭ জুন ফের তাঁকে সাত দিন সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ শেষে শুক্রবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে সায়গলকে কলকাতার নিজাম প্যালেস থেকে বেলা ১১টা নাগাদ আসানসোলে নিয়ে আসা হয়। আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, অনুব্রতর দেহরক্ষীকে জেরা করে অনেক নতুন তথ্য উঠে এসেছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গরু পাচার–কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত এনামুল হকের সঙ্গে বেশ কয়েক বার সায়গলের কথা হয়েছে। এমনকি এনামুলকে মেলও পাঠিয়েছেন সায়গল–দাবি সিবিআইয়ের। এমনকি সিবিআই এদিন দাবি করেছে, রাজ্য পুলিশের কনস্টেবল পদে থাকা সায়গল অনুব্রতর দেহরক্ষী হওয়ার পর প্রায় ১০০ কোটি টাকার মালিক হয়ে উঠেছেন। কলকাতার নিউটাউন, বোলপুর–সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁর ফ্ল্যাট, জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি রয়েছে।
যদিও সায়গলের আইনজীবী সিবিআই এর এই দাবি অস্বীকার করেছেন। আইনজীবীর কথায়, কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকার জিনিস উদ্ধার হয়েছে। এমনকি সায়গলের আইনজীবী তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদনও করেন। কিন্তু সিবিআই জানায়, সায়গলকে জামিন দিলে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। শুনানি শেষে সায়গলের জেল হেফাজতের নির্দেশই দেন বিচারক।
We hate spam as much as you do