ওই মামলা দুটি দেওয়া হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। এবার থেকে এই দুই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সিনহার এজলাসে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ মতো সরানো হয়েছে এই মামলা দুটি। এদিন যে দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানো হল, সেই দুটিই ছিল প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল মামলা। মামলাকারী সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিক।
প্রাথমিকের দুই মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় থেকে অমৃতা সিংএর এজলাসে
কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে সরানো হল প্রাথমিকের দুটি মামলা। ওই মামলা দুটি দেওয়া হয়েছে বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে। এবার থেকে এই দুই মামলার শুনানি হবে বিচারপতি সিনহার এজলাসে। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নির্দেশ মতো সরানো হয়েছে এই মামলা দুটি। এদিন যে দুটি মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরানো হল, সেই দুটিই ছিল প্রাথমিকে নিয়োগ কেলেঙ্কারির মূল মামলা। মামলাকারী সৌমেন নন্দী ও রমেশ মালিক। প্রাথমিকের এই মামলাতেই প্রথম সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay)। তার আগে অবশ্য প্রাথমিকের মামলার বিচার করতেন বিচারপতি সিনহা।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর সোমবার সকালে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছ থেকে মামলার ফাইল ফেরত চায় কলকাতা হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এই নির্দেশ দেয় ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির কার্যালয়। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত দুটি মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এদিন সেই নিয়োগ মামলার দুই ফাইলই চেয়ে পাঠানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার শুনানি চলাকালীনই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ওই মামলা নিয়ে একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেন বলে অভিযোগ। যা শুনে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, বিচারপতিরা কোনওভাবেই তাঁদের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে পারেন না। উনি যদি সাক্ষাৎকার দিয়ে থাকেন, তা হলে তিনি ওই মামলা শোনার অধিকার হারিয়েছেন। তার পরেই সেই সাক্ষাৎকারের অনুবাদ কপি হাইকোর্টের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় দেশের শীর্ষ আদালত। সেই মতো অনুবাদের প্রতিলিপি দেওয়া হয় মহামান্য সুপ্রিম কোর্টকে। তারপরই মামলা সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ জানার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, আমার ধারণা ধীরে ধীরে সব মামলাই সরিয়ে নেওয়া হবে আমার এজলাস থেকে। তিনি এও জানিয়েছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ তিনি পালন করবেন যথাযথভাবে। পরে আজ আমার মৃত্যুদিন বলেও আক্ষেপ করেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি এও বলেছিলেন, আমি কোনও ব্যক্তিগত স্বার্থ নিয়ে এই মামলার বিচারের দায়িত্ব নিইনি। তবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি বরাবর সরব হয়েছি। বিচারক হিসেবে যতদিন আছি, ততদিন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলব। যখন থাকব না, অন্য কাজ করব, তখনও দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব হব। প্রসঙ্গত, এদিন ১১ বান্ডিল ফাইল ফেরতের প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরেই নতুন বেঞ্চ গঠন করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি।
We hate spam as much as you do