Tranding

03:02 PM - 01 Dec 2025

Home / World / আক্রান্ত গাজায় জল, স্বাস্থ‍‍্য, শিক্ষার কাঠামো ক্ষতি ১৮৫০ কোটি ডলার

আক্রান্ত গাজায় জল, স্বাস্থ‍‍্য, শিক্ষার কাঠামো ক্ষতি ১৮৫০ কোটি ডলার

জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসের মাত্রা নজিরবিহীন। অব্যাহত যুদ্ধে গাজার সব বাড়ির প্রায় ৬২ শতাংশ বা ২ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধে গাজায় মোট ক্ষয়ক্ষতির ৭২ শতাংশ আবাসন খাতে হয়েছে। অর্থের মূল্যে এই ক্ষতির পরিমাণ ১৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আক্রান্ত গাজায় জল, স্বাস্থ‍‍্য, শিক্ষার কাঠামো ক্ষতি ১৮৫০ কোটি ডলার

আক্রান্ত গাজায় জল, স্বাস্থ‍‍্য, শিক্ষার কাঠামো ক্ষতি ১৮৫০ কোটি ডলার


 ০৩ এপ্রিল ২০২৪


প্যালেস্টাইনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় টানা ছয় মাস ধরে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরাইল। ইসরাইলি এই ধ্বংসযজ্ঞ এতই ভয়াবহ, যুদ্ধের মাত্র চার মাসে প্রায় সাড়ে ১৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ৮৫০ কোটি ডলারের অবকাঠামো হারিয়েছেন প্যালেস্টাইন বাকি।

 
মঙ্গলবার জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে এসেছে। প্রতিবেদন বলা হয়েছে, ইসরাইলি হামলায় গাজায় চার মাসে যে পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা ২০২২ সালে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজার সম্মিলিত জিডিপির ৯৭ শতাংশের সমান।

 
জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত অন্তর্বর্তীকালীন ক্ষয়ক্ষতি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ধ্বংসের মাত্রা নজিরবিহীন। অব্যাহত যুদ্ধে গাজার সব বাড়ির প্রায় ৬২ শতাংশ বা ২ লাখ ৯০ হাজার ৮২০ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধে গাজায় মোট ক্ষয়ক্ষতির ৭২ শতাংশ আবাসন খাতে হয়েছে। অর্থের মূল্যে এই ক্ষতির পরিমাণ ১৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 
জল, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার মতো সরকারি খাতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১৯ শতাংশ। বাণিজ্য ও শিল্প সম্পর্কিত ভবনে ৯ শতাংশ। জ্বালানি, জল ও পৌর খাত ৮০০ মিলিয়ন ডলার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। জল ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

 
৮৪ শতাংশ স্বাস্থ্যকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। বাকিগুলোও বিদ্যুৎ ও জলের অভাবে কাজ করতে পারছে না। ফলে গাজার জনসাধারণ ন্যূনতম সেবা গ্রহণ করতে পারছেন না বলে প্রতিবেদনে ওঠে এসেছে।

 

স্বাস্থ্যব্যবস্থার মতো গাজার শিক্ষাব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে। গাজায় ৬ লাখ ২৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তবে এখন তাদের কেউ আর স্কুলে যেতে পারছে না। ইসরাইলি হামলায় প্রায় ৫৬টি স্কুল ধ্বংস হয়েছে এবং ২১৯টি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সব মিলিয়ে শিক্ষা অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৩৪১ মিলিয়ন ডলার।

 

ইসরাইলি হামলায় ২৬ মিলিয়ন টন ধ্বংসাবশেষ তৈরি হয়েছে। এসব ধ্বংসাবশেষ অপসারণ করতে কয়েক বছর সময় লাগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখন পর্যন্ত মোট ক্ষয়ক্ষতির ৮০ শতাংশ গাজা, উত্তর গাজা ও খান ইউনিসে হয়েছে। বিত লাহিয়া ও রাফা এলাকায়ও উল্লেখযোগ্য ক্ষতি রেকর্ড করা হয়েছে।

 

তবে এখানেই শেষ নয়। যুদ্ধ এখানো চলছে। তাই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে দক্ষিণ গাজার ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও বেশি সত্য। প্রতিবেদনে গাজায় মানবিক সহায়তা, খাদ্য সহায়তা ও খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি, বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য আশ্রয় ও আবাসন সমস্যার সমাধান এবং প্রয়োজনীয় পরিষেবা পুনরায় চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সূত্র: রয়টার্স

Your Opinion

We hate spam as much as you do