Tranding

02:14 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি পদ থেকে ‘’ মহুয়া দাস অপসারিত "

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি পদ থেকে ‘’ মহুয়া দাস অপসারিত "

তবে শুধুমাত্র ঐ বক্তব্য না হতে পারে। আসলে উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফল নিয়ে সরকারের বেশ খানিকটা প্রশাসনিক দূর্বলতা ধরা পড়েছে। প্রথমে রেজাল্ট আউট, তারপর ফেলদের বিক্ষোভ। ভাঙচুর। রাস্তা অবরোধ। মানে নজিরবিহীন ঘটনা। প্রধান শিক্ষকরা নাকাল। বেশ খানিকটা অপমানিত। তারপর সব ফেলদের পাশ করিয়ে দেওয়া। এই ঘটনায় নিঃসন্দেহে সরকার বিব্রত হয়েছে। অবশ্যই শিক্ষা সংসদ দায় এড়াতে পারে না।

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি পদ থেকে ‘’ মহুয়া দাস অপসারিত "

উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ সভাপতি পদ থেকে ‘’ মহুয়া দাস অপসারিত "

newscopes.in  13th augus
উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি পদ থেকে সরানো হল মহুয়া দাসকে। উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ঘোষণার দিন তাঁর বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়। সংসদ সূত্রে খবর, প্রথম থেকেই বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি নবান্ন। এসবের মধ্যেই নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করল সংসদ। নব নির্বাচিত উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য।

গত ২২ জুলাই এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়। যেহেতু করোনার কারণে এ বছর পরীক্ষা নেওয়া হয়নি, তাই মূল্যায়ণ পদ্ধতিতেও বেশ কিছু বদল আসে। এ বছর পরীক্ষার যে ফলাফল, তা একাদশের ফাইনাল পরীক্ষার নম্বর, প্র্যাকটিকালের নম্বর ও মাধ্যমিকের নম্বর যোগ করে তৈরি হয় চূড়ান্ত ফল। ফল প্রকাশের পরই দেখা যায় মুর্শিদাবাদের এক ছাত্রী প্রথম হয়েছেন। নাম রুমানা সুলতানা। রুমানার নাম ঘোষণা করতে গিয়ে সেদিন বার বার মহুয়া দাসের মুখে উঠে এসেছিল ‘মুসলিম কন্যা’ শব্দটি।

মহুয়া দাস বলেছিলেন, “সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে একটা ইতিহাস সংসদে হয়েছে। সেটা একটু বলতে ইচ্ছা করছে। যিনি এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন, তিনি একজন মুসলিম কন্যা। মুসলিম, মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে। একজন মুসলিম মেয়ে। তিনি এককভাবে সর্বোচ্চ নম্বর পেয়েছেন।” ঠিক তিনবার মুসলিম কথাটি বলতে শোনা যায় তাঁকে। যা নিয়ে নানা মহলে সমালোচনা শুরু হয়। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর তীব্র নিন্দা করে। নবান্ন এই বিষয়টি ভাল ভাবে নেয়নি। মহুয়া দাসকে সেখানে ডেকেও পাঠানো হয়। এরই মধ্যে শুক্রবারের এই সিদ্ধান্ত।

তবে শুধুমাত্র ঐ বক্তব্য না হতে পারে। আসলে উচ্চ মাধ্যমিক ফলাফল  নিয়ে সরকারের বেশ খানিকটা প্রশাসনিক দূর্বলতা ধরা পড়েছে। প্রথমে রেজাল্ট আউট, তারপর ফেলদের বিক্ষোভ। ভাঙচুর। রাস্তা অবরোধ।  মানে নজিরবিহীন ঘটনা। প্রধান শিক্ষকরা নাকাল। বেশ খানিকটা অপমানিত। তারপর সব ফেলদের পাশ করিয়ে দেওয়া। এই ঘটনায় নিঃসন্দেহে সরকার বিব্রত হয়েছে। অবশ্যই শিক্ষা সংসদ দায় এড়াতে পারে না।

নতুন সংসদ সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সোমবারই নিজের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, “সরকার আমাকে একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছে। আমি সবরকম ভাবে তা পালনের চেষ্টা করব।

Your Opinion

We hate spam as much as you do