রেড ভল্যান্টিয়াররা-8250938474. এই নম্বরে যোগাযোগ করার বার্তা দিয়েছেন। অন্তত ৫০ যাত্রী মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।
গুয়াহাটিগামী বিকানির এক্সপ্রেস উল্টে ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনা উত্তরবঙ্গে!
রেড ভল্যান্টিয়াররা সবার আগে পৌঁছেছে দূর্ঘটনা স্থলে। ময়নাগুড়ি এরিয়ার সিপিআইএম সম্পাদক ইতিমধ্যে পৌঁছে গেছেন বলে স্থানীয় সুত্রে খবর। --8250938474. এই নম্বরে যোগাযোগ করার বার্তা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলেই ভয়াবহ রেল দুর্ঘটনার সাক্ষী রইল উত্তরবঙ্গ। লাইন থেকে উল্টে গেল গুয়াহাটিগামী বিকানির এক্সপ্রেস। ময়নাগুড়ির দোমহনি এলাকায় ঘটেছে এই দুর্ঘটনা৷ যার জেরে বহু মানুষের হতাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। অন্তত ৫০ যাত্রী মারা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। আহতও হয়েছেন বহু মানুষ।
সূত্রের খবর, এদিন বিকেল ৫টা নাগাদ নিউজলপাইগুড়ি স্টেশন ছেড়ে কিছুটা এগোনোর পরই ময়নাগুড়ির কাছে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে বিকানির এক্সপ্রেসটি। লাইনচ্যুত হয়ে বেশ কয়েকটি কামরা উল্টে গিয়েছে। একইসঙ্গে ট্রেনটির ৪-৫টি কামরা দুমড়ে মুচড়েও গিয়েছে। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিমি ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আলিপুরদুয়ার থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছ্ব একটি উদ্ধারকারী দল। গ্যাস কাটারে কামরা কেটে চলছে উদ্ধারের কাজ। যদিও এখনও কতজনের মৃত্যু হয়েছে বা আহতের সংখ্যা, কিছুই জানা যায়নি।
Red Volunteers are gathering in hospital for Blood Donation For injures at Night in Mainaguri
দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জনসংযোগ আধিকারিক নীলাঞ্জন দেব জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা নাগাদ গুয়াহাটি-বিকানির এক্সপ্রেস লাইনচ্যূত হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের নিউ ময়নাগুড়ি এবং নিউ দোমোহনি সেকশনে এই ঘটনা ঘটেছে। রিলিফ ভ্যান যাচ্ছে। ডিআরএম-রাও যাচ্ছেন। বাকি তথ্য এখনও জানতে পারিনি। জানলেই জানাব।”
অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম দিলীপ সিংহ জানিয়েছেন, “বিকানির এক্সপ্রেস উল্টে যাওয়ার খবর পেয়েছি। চারটে কামরা উল্টেছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি। তবে এখনও হতাহতের খবর নেই। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। আগে উদ্ধার কাজ হবে। পরে অন্য কিছু।”
জানা গিয়েছে, লাইনচ্যুত হওয়ার জেরে ইঞ্জিনের পরে থাকা ৭টি বগি লাইন থেকে ছিটকে যায়। তীব্রতা এত বেশি ছিল যে ৩টি বগিই সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে গিয়েছে। ফলে হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই বেশি হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে দুর্ঘটনার সময় রেললাইনের কী অবস্থা ছিল এবং এরপর কামরাগুলি কতটা দূরে ছিটকে পড়েছে তা প্রাথমিক ভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে একইসঙ্গে এহেন দুর্ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা।
We hate spam as much as you do