গত অক্টোবরে সুদানে সেনা আবার ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে বিক্ষোভ চলছে। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ও পরে গুলি চালায়। তার ফলে তিনজন নিহত ও তিনশ জন আহত হয়েছেন। সুদান ডক্টরস কমিটি জানিয়েছে, সবমিলিয়ে সুদানে ৬০ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।
সুদানে সেনাবিরোধী বিক্ষোভে গুলি, আবার মৃত দুই। সবমিলিয়ে ৬০
সেনাবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল সুদান। হাজার হাজার মানুষের বিক্ষোভ। নিরাপত্তা বাহিনীর গুলি। আবার মৃত অন্তত দুজন।গত চারদিন আগে মৃত তিনজন। বেড়েই চলেছে মৃত্যু সংখ্যা
গত অক্টোবরে সুদানে সেনা আবার ক্ষমতা দখল করে। তারপর থেকে বিক্ষোভ চলছে। বৃহস্পতিবার হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী প্রথমে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে ও পরে গুলি চালায়। তার ফলে তিনজন নিহত ও তিনশ জন আহত হয়েছেন। সুদান ডক্টরস কমিটি জানিয়েছে, সবমিলিয়ে সুদানে ৬০ জন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন।
সুদানের সরকারি কর্মকর্তারা অবশ্য গুলি চালানোর ঘটনা অস্বীকার করে একাধিকবার জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের উপর গুলি চালানো হয়নি। বৃহস্পতিবারই মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন সুদানের নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন যে, তারা যেন বিক্ষোভে গুলি না চালায়। তারপরেও এই ঘটনা ঘটেছে।
খার্তুমের পাশের শহর ওমডারমানে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে দুইজন বিক্ষোভকারী মারা গেছেন। আর বাহরি জেলায় মারা গেছেন একজন।
সুদান ডক্টরস কমিটির কর্মকর্তা নাদিম সিরাগ বলেছেন, একজন বিক্ষোভকারীর মাথায় গুলি লেগেছিল। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই তিনি মারা যান। অনেকে আহত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সুদানের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ চলছে। ২২ বছর বয়সি বিক্ষোভকারী সামার আল-তায়েব সংবাদসংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, সেনা শাসনভার না ছাড়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলবে।
সকাল থেকে সুদানে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল। তা সত্ত্বেও সামাজিক মাধ্যমে বিক্ষোভের ভিডিও আপলোড করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সুদানের পতাকা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা বলছেন, জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাচ্ছে। আর বিক্ষোভকারীরা ইট ছুঁড়ছে।
গত ২৫ অক্টোবর সুদানে সেনা আবার ক্ষমতা দখল করে। প্রধানমন্ত্রী হ্যামডককে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। নভেম্বরে অ্যামেরিকার মধ্যস্থতায় হ্যামডককে আবার প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন, ২০২৩-এ নির্বাচন হবে।
কিন্তু গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভ চলতে থাকে। হ্যামডকের জনপ্রিয়তাও কমে যায়। এই সপ্তাহের গোড়ায় হ্যামডক ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়েছে।
We hate spam as much as you do