"এসব কমিউনিস্ট নেতারা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে আমাদের বিপদ বেশি, তার চেয়ে বরং কলেজে চাকরি করলেই মঙ্গল.. "
রাজনৈতিক সহিষ্ণুতা ও বিধান রায়- সেই থেকে অধ্যাপকের চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশন হত না।
কমিউনিস্ট নেতারা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে বিপদ--
বামপন্থী অধ্যাপক - কবি তরুণ সান্যাল সম্পর্কে বলে উঠলেন বিধান চন্দ্র রায়।
ঘটনার সূত্রপাত অধ্যাপকের চাকরির নিয়োগে পুলিশ ভেরিফিকেশনের জটিলতা নিয়ে। একে তো বামপন্থী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তরুণ সান্যাল, পার্টি যখন আন্ডারগ্রাউন্ডে ছিলো তখন বেশ কয়েকটা পুলিশি কেসও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছিলো। এহেন মানুষের পুলিশ ভেরিফিকেশনের রিপোর্ট নিশ্চয়ই সুললিত ভাবে লেখা হবে না, আবার রাজ্যে তখন কংগ্রেস সরকার।
তরুণ বাবুর চাকরি প্রায় আটকে যেতে বসলো। তদানীন্তন ওয়েবকুটার নেতৃত্ব অধ্যাপক দিলীপ চক্রবর্তী তরুণ সান্যালকে সঙ্গে নিয়ে সটান হাজির হলেন রাইটার্স বিল্ডিংয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধান চন্দ্র রায়ের চেম্বারে।
বিধান রায় সব শোনার পর তক্ষুনি তলব করলেন তদানীন্তন উচ্চশিক্ষা বিভাগের আধিকারিক ধীরেন সেনকে। প্রশাসনিক মহলে ডি.এন.সেন নামে পরিচিত ধীরেন বাবু তরুণ সান্যালের নিয়োগের ফাইল নিয়ে উপস্থিত হলেন মুখ্যমন্ত্রী বিধান বাবুর চেম্বারে। বিধান চন্দ্র রায় সহাস্যে ডি.এন.সেন-কে বললেন...
"এসব কমিউনিস্ট নেতারা বাইরে ঘোরাঘুরি করলে আমাদের বিপদ বেশি, তার চেয়ে বরং কলেজে চাকরি করলেই মঙ্গল.. "
বিধান বাবুর স্পষ্ট নির্দেশে তরুণ সান্যালের অধ্যাপনার চাকরিতে তৎক্ষণাৎ সবুজ সংকেত দিলেন শিক্ষা অধিকর্তা ডি.এন.সেন।
উল্লেখ্য সেই থেকে বেসরকারি কলেজে অধ্যাপনার চাকরিতে পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রথাও উঠে গ্যালো। কিছু দিন হলো সেই প্রথা আবার চালুও হয়ে গ্যাছে এ রাজ্যে।
যে রাজনৈতিক সহিষ্ণুতার খোঁজে আজ আমরা হন্যে হয়ে পড়েছি, তা কিন্তু এই বাংলায় একেবারেই অধরা ছিলো না। অবশ্য ড.বিধান চন্দ্র রায়কে কখনোই গলায় পোস্টার ঝুলিয়ে তা বিজ্ঞাপন দিয়ে প্রচার করতে হয়নি।
We hate spam as much as you do