মোল্লা ওমরের 'ছাত্র দল' আরও জানিয়েছে 'আপনারা আমাদের বিদেশ নীতির লাইন জানেন। নিরপেক্ষতার আঙ্গিকেই সব কিছু আমরা বিশ্লেষণ করি। তাই কোনও পক্ষকেই সমর্থন করছি না। আমরা উক্রেইনে আটকে থাকা আফগান ছাত্র ও কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে দুই সরকারকেই অনুরোধ করছি।"
যুদ্ধের অবসান চায় তালিবান, ইউক্রেনিয়ানদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মোল্লা ওমরের 'ছাত্র দল'
দীর্ঘ দুই দশক পর ফের আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার পর এদিন তালিবান ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তানের তরফে রাশিয়া ও ইউক্রেইনের কাছে শান্তি ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে তালিবান জানিয়েছে উক্রেইনের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার ব্যাপারে চিন্তিত। তাই তারা চায় রাশিয়া ও ইউক্রেইন, দুই দেশের সরকারই কাছেই শান্তি ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে উদ্যোগী হোন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মত পাইকারি হারে গণহত্যা তারা চাইছে না।
আব্দুল গনি বরাদর, খলিল - উল - রহমান হক্কানিরা জানিয়েছেন : "ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান উক্রেইনের পরিস্থিতির দিকে সব সময় নজর রাখছে। আমরা উক্রেইনের সাধারণ নাগরিকদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। দুই তরফের পক্ষেই রাজনৈতিক সদিচ্ছার প্রয়োজন। এমন কোনও অবস্থান যেন কোনও তরফ না নেয় যা হিংসা আরও বাড়িয়ে তুলবে। এই হানাহানি, রক্তারক্তির বিরুদ্ধে আমরা।"
এখানে উল্লেখযোগ্য, যুদ্ধবিদ্ধস্ত আফগানিস্তানে গত বছর ১৫ আগস্টে আফগানিস্তান ২০ বছর পর ফের ক্ষমতায় আসে। জো বিডেনের মার্কিন সেনা হাত গুটিয়ে নেওয়ার ফলে কান্দাহার, হেরাট, মাজার - ই - শরিফ, জালালাবাদ, একের পর এক গুরুত্বপূর্ণ আফগান শহর বিনা বাধায় দখল করে নেন হাইবাতুল্লা আখুন্দজাদারা।
মোল্লা ওমরের 'ছাত্র দল' আরও জানিয়েছে 'আপনারা আমাদের বিদেশ নীতির লাইন জানেন। নিরপেক্ষতার আঙ্গিকেই সব কিছু আমরা বিশ্লেষণ করি। তাই কোনও পক্ষকেই সমর্থন করছি না। আমরা উক্রেইনে আটকে থাকা আফগান ছাত্র ও কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখতে দুই সরকারকেই অনুরোধ করছি।"
এদিকে উক্রেইনের তরফ থেকে শুক্রবার জানানো হয়েছে যে ইতিমধ্যেই ১০০০ রুশ সেনা মারা গিয়েছে। আর পুতিন কখনও শান্তির বার্তা দিচ্ছেন তো কখনও উক্রেইনের সেনার উদ্দেশ্যে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন। তাই ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিশ্লেষণ অনুযায়ী কী সত্যিই 'অপারেশন বারবারোসার' কারণে ১৯৪৫ এর পর ইউরোপ সবচেয়ে বড় যুদ্ধের সাক্ষী হতে চলেছে। সময় কথা বলবে
We hate spam as much as you do