Tranding

03:49 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলা হল তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলা হল তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে

রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল (NHRC)। ১৩ ই জুলাই মুখবন্ধ খামে করে একটি বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।  ৫০ পাতার রিপোর্টে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলা হল তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতী’ বলা হল তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীকে

newscopes.in 15th july

রাজ্য ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় হাইকোর্টে পেশ করা জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী। 'কুখ্যাত দুষ্কৃতীর তালিকায় রয়েছে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, উদয়ন গুহ, শেখ সুফিয়ান থেকে পার্থ ভৌমিক, শওকত মোল্লা, জীবন সাহা, খোকন দাসএর মতো রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ একাধিক তৃণমূল নেতার নাম।এই রিপোর্ট উদ্দেশ্যপ্রণোদিত-একতরফা বলে মন্তব্য করেছেন তৃণমূল নেতারা।


রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনায় পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল (NHRC)। ১৩ ই জুলাই মুখবন্ধ খামে করে একটি বিস্ফোরক রিপোর্ট জমা দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টে।  ৫০ পাতার রিপোর্টে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ করা হয়েছে। ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনা নিয়ে দ্রুত বিচারের জন্য ভিন রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।। এই মামলার রিপোর্টে সিবিআই (CBI) তদন্তের সুপারিশ করেছেন NHRC দলের সদস্যরা।


এই মামলার রিপোর্টে NHRC দলের সদস্যদের CBI-র সুপারিশ দাবি করার বিষয়টা, হাই কোর্টের ৫ বিচারপতির বৃহত্তর বেঞ্চের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। এই মামালার পরবর্তী শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে ২২ শে জুলাই। এইদিন রাজ্যের বক্তব্য শোনা হবে আদালতে।

তৃণমূল নেতারা মন্তব্য করেছেন, ভোটে হার মেনে নিতে না পেরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের মাধ্যমে এভাবে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে বিজেপি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, এই রিপোর্ট খুবই দুঃখজনক, লজ্জাজনক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তিনি আরও বলেছেন, এটি সম্পূর্ণ সাজানো রিপোর্ট। দল এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলায় আইনের শাসনের বদলে চলছে শাসকের আইন। পরিস্থিতির বদল না হলে বাজবে গণতন্ত্রের মৃত্যুঘণ্টা। ছড়িয়ে পড়বে অন্য রাজ্যেও। হাইকোর্টে রিপোর্টে এভাবেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কমিশন। কোর্টের পর্যবেক্ষণে সিট গঠনের প্রস্তাবও জাতীয় মানবাধিকারি কমিশনে দিয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২ মাসে রবীন্দ্রনাথের মাটিতে খুন, ধর্ষণ, ভিটেছাড়া হয়েছে মানুষ। অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। চিত্ত যেথা ভয় শূন্য উদ্ধৃত করে রিপোর্টের ছত্রে ছত্রে রাজ্যকে আক্রমণ করেছে কমিশন। সাক্ষীদের সুরক্ষা নিয়েও রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।

মানবাধিকার কমিশনের এই রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেছেন,বাংলাকে বদনাম করতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তথ্য বিকৃত করা হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশে আইনের শাসন নেই। সেখানে কটা কমিশন পাঠিয়েছে কেন্দ্র?

ছবি- ইউটিউব (tv9

Your Opinion

We hate spam as much as you do