রাজ্যের আবাস যোজনার চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হলেই টাকা ছাড়া শুরু করবে পঞ্চায়েত দফতর। আগে টাকা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ২০ ডিসেম্বর। ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসনের কর্তাদের কাছে সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। সমীক্ষা করতে চার দিন সময় বেশি লেগে যাওয়ায় টাকা ছাড়ার সময়সীমাও বাড়ানো হল বলে জানা গিয়েছে। সমীক্ষা চলাকালীন বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভও দেখিয়েছে গ্রামবাসীরা।
ক্ষোভ-বিক্ষোভের মধ্যেই বাংলা আবাস যোজনার সমীক্ষা শেষ, টাকা দেওয়া শুরু হচ্ছে।
20 Nov 2024
আবাস যোজনা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে বড়সড় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছিল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে সেই প্রকল্পের সমীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। প্রথমে লক্ষ্য ছিল ১৪ নভেম্বরের মধ্যে সমীক্ষা শেষ করা হবে। সমীক্ষা শেষ করতে আরও চার দিন বেশি সময় লাগে। ১৮ নভেম্বর তালিকা তৈরির সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন তালিকা প্রস্তুত করার প্রক্রিয়া চলবে। জানা গিয়েছে, সেক্ষেত্রে উপভোক্তাদের টাকা দেওয়ার কাজ তিন দিন পিছিয়ে গিয়েছে।
রাজ্যের আবাস যোজনার চূড়ান্ত তালিকা তৈরি হলেই টাকা ছাড়া শুরু করবে পঞ্চায়েত দফতর। আগে টাকা দেওয়ার সময়সীমা নির্ধারিত ছিল ২০ ডিসেম্বর। ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে টাকা দেওয়ার সময়সীমা বাড়ানো হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসনের কর্তাদের কাছে সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। সমীক্ষা করতে চার দিন সময় বেশি লেগে যাওয়ায় টাকা ছাড়ার সময়সীমাও বাড়ানো হল বলে জানা গিয়েছে। সমীক্ষা চলাকালীন বেশ কয়েক জায়গায় ক্ষোভ-বিক্ষোভও দেখিয়েছে গ্রামবাসীরা।
কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার প্রকল্পের হাজার হাজার কোটি টাকা না দিয়ে রাজ্যকে বঞ্চিত করেছে। এই অভিযোগ করে প্রাপ্ত টাকা দেওয়ার দাবিতে মোদী সরকারকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এমনকী দিল্লিতে গিয়ে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজভবনের সামনে মঞ্চ খাটিয়ে ধর্নায় বসেছে।
বিগত লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সরকারের টাকা না দেওয়াকে হাতিয়ার করে প্রচারও করেছে তৃণমল কংগ্রেস। যদিও হিসেব দিতে না পারায় টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার বলে জানানো হয়। বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ করেছে কেন্দ্র সরকার । অন্যদিকে নির্বাচনী প্রচারেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন কেন্দ্র টাকা না দিলেও ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার টাকা দেবে রাজ্য সরকার।
গ্রামসভা, ব্লকস্তর ও জেলা স্তর, তিন পর্যায়ে আবাস যোজনার তালিকার অনুমোদন মেলার পর টাকা বরাদ্দ করা হবে। ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এই তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে। যদি সেই সময়ের মধ্যে কোনও অভিযোগ আসে তা দ্রুত মীমাংসা করার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন।
We hate spam as much as you do