এই খুনের পিছনে তৃণমূলের অন্তর্কলহকে দায়ী করে নদিয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাজিজুল হক শা বলেন, ‘নদিয়ার নারায়ণপুরের একটি ইটভাটার অংশীদারিত্ব নিয়ে সেখানকার বাসিন্দা রাজকুমার, নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা এবং নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সফিউজ্জামান শেখের (হাবিব) সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে মতিরুলের বিবাদ চলছিল।
ইটভাটার দখলদারী কার? মুর্শিদাবাদে খুন নদিয়ার তৃণমূল নেতা
বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ২০২২
একটি ইটভাটার দখলদারীকে কেন্দ্র করে বিবাদের জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধেয় মুর্শিদাবাদের নওদা থানার শিবনগর–টিয়াকাটাঘাট এলাকায় খুন হলেন নদিয়ার নারায়ণপুর–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধানের স্বামী।
মৃত ব্যক্তির নাম মতিরুল ইসলাম বিশ্বাস (৪৮)। তাঁর স্ত্রী রিনা বিশ্বাস বর্তমানে নারায়ণপুর–২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধেবেলা নওদার আল আমিন মিশনে বিএড পড়ুয়া ছেলের সঙ্গে দেখা করে নদিয়ার আজলামপুরের বাড়িতে ফেরার সময় টিয়াকাটাঘাট এলাকায় দুষ্কৃতীরা মতিরুল এবং তাঁর দেহরক্ষীকে ঘিরে ধরে। তাঁদের লক্ষ্য করে একাধিক বোমা ছোড়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় মতিরুল পড়ে গেলে তাঁকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়ে এলাকা ছেড়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় মতিরুলকে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এই খুনের পিছনে তৃণমূলের অন্তর্কলহকে দায়ী করে নদিয়া যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক সাজিজুল হক শা বলেন, ‘নদিয়ার নারায়ণপুরের একটি ইটভাটার অংশীদারিত্ব নিয়ে সেখানকার বাসিন্দা রাজকুমার, নদিয়া জেলা পরিষদের তৃণমূল সদস্য টিনা ভৌমিক সাহা এবং নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সফিউজ্জামান শেখের (হাবিব) সঙ্গে বেশ কয়েক বছর ধরে মতিরুলের বিবাদ চলছিল।’ তাঁর দাবি, ‘প্রাণহানির আশঙ্কা থাকায় গত ৭–৮ বছর ধরে দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতেন মতিরুল।’ যদিও এই হত্যাকান্ডের সঙ্গে নওদা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতির কোনও যোগ নেই বলে দাবি করেছেন সফিউজ্জামানের মামা তথা মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আবু তাহের খান। তিনি বলেন, ‘ঘটনার সময় সফিউজ্জামান মুর্শিদাবাদে ছিল না।’ এই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
We hate spam as much as you do