তাহলে এরা কারা । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে? রাশি রাশি ফোন বাজছে সকাল থেকে রাত দুপুর? অক্সিজেন চাই ! টেস্ট করতে হবে । এখুনি ডাক্তার চাই । হসপিটালাইজ করতে হবে । কিছু ছেলে মেয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ।
রেড ভল্যান্টিয়ার্সদের মনে রাখবে ইতিহাস
ভোটের ফল নয় , লাল স্বেচ্ছাসেবকরাই ইতিহাসে থাকবেন।
লাল স্বেচ্ছাসেবক। এতজন এমএলএ হলেন তারা সব কোথায় ? সঙ্গে এমপি রা ?
কোথাও হয়তো হাজার হাজার কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্যের কেউ কেউ আছে। বেশিরভাগ কোথায়? কোথায় সেইসব চিত্রতারকারা ? যারা মানুষের জন্য কাজ করবেন বলে সিনেমা ছেড়ে রাজনীতিতে এসেছেন, মানে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ?
এইরকম অভিযোগ তৈরি হচ্ছে করোনা বিধ্বস্ত পশ্চিমবঙ্গের নানা এলাকায় ।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লাল
স্বেচ্ছাসেবকরা রাস্তায়। রেড ভল্যান্টিয়াররা কি সবাই লাল জামা গায়ে আছেন ? প্রশ্নটা দীর্ঘকাল প্রবাসী এখানে এসে আটকে পড়া এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার তানিশের । why are they called Red ? পাশে দাঁড়িয়ে হাসতে হাসতে প্রবীরবাবু বললেন না ওদের মনটা লাল । তানিশ খুব একটা বুঝল না। সবটা ভেঙে প্রবীরবাবু বললেন এরা সব left তাই লাল । তানিশ অবাক হল । সিপিএম কোথায় আছে ? সে তো শুনেছে নেই। পরপর নির্বাচনের ফলাফল বিদেশের খবরে এটাই প্রকাশ সিপিএম নেই। তাহলে এরা কারা । রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে? রাশি রাশি ফোন বাজছে সকাল থেকে রাত দুপুর? অক্সিজেন চাই ! টেস্ট করতে হবে । এখুনি ডাক্তার চাই । হসপিটালাইজ করতে হবে । কিছু ছেলে মেয়ে পৌঁছে যাচ্ছে ।
উত্তর ২৪পরগনার হাবড়া অশোকনগর বনগাঁ থেকে বারাসাত থেকে দমদম , বারাকপুর , নৈহাটি, শ্যামনগর সল্টলেক , কামারহাটি, রাজারহাট, এমনকি গ্রামাঞ্চলেও মোটরবাইক ছুটছে এ মাথা থেকে ও মাথা।
হাবড়া থেকে রাত দুটোর সময় বেরিয়ে খড়দার হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া । সল্টলেকে একদম অচেনা অসহায় পরিবারের বাড়িতে একটা অক্সিজেন সিলিন্ডার পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটা মেয়ের ছুটে যাওয়া । আরও অনেক উদাহরণ আছে ।
নির্বাচনের সময় তীব্রভাবে দুটো রাজনৈতিক দলের মধ্যে মেরুকরণ করিয়ে দেবার জন্য নিরন্তর ক্লান্তিহীন প্রচার চালিয়েছে বৃহৎ টিভি চ্যানেলগুলো।
তাই এখন ফল বেরোনোর পর আর খবর নেই শ্রেফ এই লাল স্বেচ্ছাসেবক ছাড়া। তাই বিখ্যাত বাংলা চ্যানেল এবিপি এই লাল স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে খবর দেখাল।
নিশ্চিতভাবে SFI ,DYFI করা এই হাজার হাজার যুবক যুবতী ভোটযুদ্ধের পর এই কোভিড যুদ্ধ করেছেন যা তারা গত বছর করেছেন এবং আক্ষেপ করেছেন কেউ মনে রাখল না ।
কিন্তু ইতিহাস বলে নির্বাচনের ফলাফলের থেকেও অর্থাত্ যা কিছু বিশিষ্ট ঘটনা তাই বেশি করে মনে থাকে। আর পাতা জুড়ে তা লিখতে হয়। ভোট তো একটা যায় অন্যটা আসে। তখন আগের ফলাফল মানুষ ভুলে যায় । কিন্তু মহামারী একশ বছরে একবার আসে । তখন সেই মহামারীতে রেড ভল্যান্টিয়ার বা লাল স্বেচ্ছাসেবকদের লড়াইও ক্রমশ বিশিষ্ট ঘটনার অন্তর্ভুক্ত হয়। তাই মনে থাকে।
নিশ্চিতভাবে বামপন্থী ছাত্রযূবদের নির্বাচন ফলাফলে হতোদ্যম না হয়ে এই জনসেবা চালিয়ে যাওয়া এক বৈপ্লবিক কাজ । ইতিহাসের পাতায় থাকার যোগ্য ।
We hate spam as much as you do