রিষড়া স্টেশনের রেল আধিকারিক ও সেখানকার পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠকের পর সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রবীণ এলাকাবাসী বলেন, 'এই অশান্তি পরিকল্পিত ভাবে লাগানো হয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে রাম নবমীর মিছিল যাওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত হয় সেই রাস্তা দিয়েই বাঁক নিয়ে যাওয়া, রথ যাত্রা, ভাসান সহ বহু ধর্মীয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কই! তখন তো সমস্যা হয়নি।' তাঁর আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ একই সুরে সোচ্চার হন।
অশান্তির জন্য সফর কাটছাঁট করে রাজ্যপালের রিষড়া সফর।
4 April 2023
বিগত কয়েকদিনে রামনবমীকে কেন্দ্র করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ছবি সামনে এসেছে। শিবপুর, ডালখোলার পর রিষড়াতেও দাঙ্গার আঁচ ছড়িয়ে পড়ে। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার মানুষ প্রবল আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। জন জীবন ভীষণ ভাবে বিপর্যস্ত।
এদিন হুগলীর রিষড়ায় রাজ্যপালের কনভয় পৌঁছে যায়। রিষড়া স্টেশনের রেল আধিকারিক ও সেখানকার পুলিশ কমিশনারের সাথে বৈঠকের পর সাধারণ মানুষের সঙ্গেও কথা বলেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। আর সেখানেই চাঞ্চল্যকর দাবি করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এক প্রবীণ এলাকাবাসী বলেন, 'এই অশান্তি পরিকল্পিত ভাবে লাগানো হয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে রাম নবমীর মিছিল যাওয়ায় সমস্যার সূত্রপাত হয় সেই রাস্তা দিয়েই বাঁক নিয়ে যাওয়া, রথ যাত্রা, ভাসান সহ বহু ধর্মীয় মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। কই! তখন তো সমস্যা হয়নি।' তাঁর আশেপাশে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ একই সুরে সোচ্চার হন।
অশান্তিতে বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন বলে খবর। এছাড়াও, বহু মানুষ জখম হয়েছেন। বহু প্রত্যক্ষদর্শীর মতে দাঙ্গার সময়ে তাঁরা স্থানীয় ছেলেদেই পাশাপাশি বহু বহিরাগতকেও আনাগোনা করতে দেখেছেন। গোটা ঘটনায় রাজ্যপাল ক্ষুব্ধ। দাঙ্গাকারীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়ে তিনি বলেন, 'যে কোনও মূল্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হিংসার সাথে যারা যুক্ত, তাঁদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না।' এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর বার্তা, 'বাঁচো ও বাঁচতে দাও।' তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, বিগত ১২ বছরে ১২টি দাঙ্গা হয়ে গেল এই রাজ্যে। অথচ ৩৪ বছরের বাম শাসনে কঠিন তম পরিস্থিতিতেও সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় থেকেছে। উদাহরণ স্বরূপ ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদে হামলার সময়ে, ১৯৯৩ সালের মুম্বাই বিস্ফোরণ, ২০০২ সালে গুজরাট দাঙ্গা, বা ২০০৭ সালে রিজওয়ানূর রহমান হত্যার সময়েও পশ্চিমবঙ্গ শান্ত ছিল। সিপিআই(এম)'র রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য পলাশ দাশ বলেন, 'মানুষ চুরি বা দাঙ্গা কোনোটাই চায় না, শান্তির, সুন্দর জীবন চায়। তৃণমূল ও বিজেপি চায় বিভাজিত ভোট ব্যাঙ্ক।'
We hate spam as much as you do