আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে বুথের সংখ্যা যেখানে প্রায় ৬৯ হাজার সেখানে প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি করে মাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
কিছুই হবেনা! ৪৪ নয় মাত্র ২২ কোম্পানি (২২০০) বাহিনী চাইল কমিশন
20 jun 2023
প্রথমে শোনা যাচ্ছিল মাত্র ৪৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। পরে দেখা গেল তার অর্ধেক প্রায় কিছুই না এমন, প্রতি জেলায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই হিসাব অনুযায়ী মঙ্গলবার কেন্দ্রের কাছে ২২ জেলার জন্য ২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে পাঠানো হয়েছে রাজ্য কমিশনের তরফে। এক কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে সাধারণত থাকেন ১০০ থেকে ১০৫ জন সদস্য । তাঁদের মধ্যে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজে লাগানো হয় কম-বেশি ৮০ জনকে।
ফলে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে গোটা রাজ্যে বুথের সংখ্যা যেখানে প্রায় ৬৯ হাজার সেখানে প্রতি জেলায় ১ কোম্পানি করে মাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট কম বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সোমবার রাতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তর থেকে বেরোনোর সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ আদালত যে রায় দেবে কমিশন তা মেনে চলবে। এরপর মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের নির্দেশ কে বহাল রেখে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার পরই রাজ্য নির্বাচন কমিশন দপ্তরে বৈঠক বসে।
সেখানেই প্রতি জেলার জন্য আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য কমিশন। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বাহিনী এলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশন যে এই রাজ্যের পুলিশকে দিয়েই পঞ্চায়েত নির্বাচন পরিচালনা করতে চাইছে সে ব্যাপারটি আরও একবার পরিষ্কার হলো। স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করে রাজ্য পুলিশকে রেখেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চাইছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এখন দেখার বিষয়, সুপ্রিম কোর্ট মামলাটি গ্রহণ না করে রাজ্যে ফিরিয়ে দেওয়ার দরুণ এবার রাজ্যের মহামান্য হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর মোতায়েনের বিষয় যে নির্দেশ দিয়েছিল তা বাস্তবে রূপ নেওয়ার ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ কি কি গ্রহণ করে।
We hate spam as much as you do