Tranding

01:36 PM - 01 Dec 2025

Home / World / ভয়াবহ রিপোর্ট - বিশ্বের ক্ষুধা সূচকে আরও ৪ ধাপ পিছনে ভারত ১১১তম ১২৫ দেশের মধ‍্যে

ভয়াবহ রিপোর্ট - বিশ্বের ক্ষুধা সূচকে আরও ৪ ধাপ পিছনে ভারত ১১১তম ১২৫ দেশের মধ‍্যে

ক্ষুধা সূচকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ। অনূর্ধ্ব-পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রবণতা ৫৮.১ শতাংশ। সূচক অনুযায়ী, শিশুদের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের অনুপাতে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে আছে ভারত, ১৮.৭ শতাংশ। এর অর্থ, আমাদের দেশের শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভোগে।

ভয়াবহ রিপোর্ট - বিশ্বের ক্ষুধা সূচকে আরও ৪ ধাপ পিছনে ভারত ১১১তম ১২৫ দেশের মধ‍্যে

ভয়াবহ রিপোর্ট - বিশ্বের ক্ষুধা সূচকে আরও ৪ ধাপ পিছনে ভারত ১১১তম ১২৫ দেশের মধ‍্যে
 
Oct 13, 2023

গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স ২০২৩, অর্থাৎ, ২০২৩ সালের বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে ১২৫টি দেশের মধ্যে ১১১তম স্থান পেল ভারত। ২০২২-এ ছিল ১০৭তম স্থানে। বৃহস্পতিবার এই সূচক প্রকাশ করা হয়েছে। ভারত মাত্র ২৮.৭ পয়েন্ট পেয়েছে। এর অর্থ, দেশের ক্ষুধার মাত্রার ভয়ঙ্কর। বহু মানুষ খেতে পান না, শিশু-মহিলারা অপুষ্টির শিকার। সবথেকে বড় কথা, প্রায় সকল প্রতিবেশি দেশই এই সূচকে ভারতের আগে স্থান পেয়েছে। চরম আর্থিক দুর্দশায় ধুকতে থাকা পাকিস্তান আছে ১০২তম স্থানে। যে শ্রীলঙ্কায় গত বছর অর্থনীতি প্রায় ভেঙে পড়েছিল, তারাও আছে ৬০তম স্থানে। এছাড়া, বাংলাদেশ আছে ৮১তম স্থানে আর নেপাল আছে ৬৯তম স্থানে। ভারত সরকার অবশ্য এই সূচক মানতে নারাজ। বরং সরকারের দাবি, ক্ষুধা পরিমাপের প্রক্রিয়াতেই ত্রুটি রয়েছে। তাই এই সূচকে ক্ষুধার জগতে ভারতের প্রকৃত অবস্থান প্রতিফলিত হয়নি।

 

সূচকে বিভিন্ন প্রতিবেশি দেশের পিছন থাকলেও, বিশ্ব ক্ষুধা সূচকে দক্ষিণ এশিয়া এবং সাহারার দক্ষিণের আফ্রিকার দেশগুলির থেকে ভাল ফল করেছে। এই দুটি এলাকারই স্কোর ২৭। ক্ষুধা সূচকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে অপুষ্টির হার ১৬.৬ শতাংশ। অনূর্ধ্ব-পাঁচ বছরের শিশুদের মধ্যে মৃত্যুর হার ৩.১ শতাংশ। ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে রক্তাল্পতার প্রবণতা ৫৮.১ শতাংশ। সূচক অনুযায়ী, শিশুদের উচ্চতার সঙ্গে ওজনের অনুপাতে বিশ্বের মধ্যে সবথেকে পিছিয়ে আছে ভারত, ১৮.৭ শতাংশ। এর অর্থ, আমাদের দেশের শিশুরা তীব্র অপুষ্টিতে ভোগে।

তবে ক্ষুধা সূচকে ভারতের এই ‘অধঃপতন’ কোনোভাবেই মেনে নেয়নি ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের তরফে এই নিয়ে এক বিবৃতি পেশ করে জানানো হয়েছে, “সূচকটিতে গুরুতর পদ্ধতিগত সমস্যা রয়েছে। স্পষ্টতই, কিছু ভুল পরিমাপ হয়েছে।

 

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সূচক গণনার জন্য ব্যবহৃত চারটি নির্দেশকের মধ্যে তিনটিই শিশু স্বাস্থ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত। এবং সেটি দেশের সমগ্র জনসংখ্যার মাপকাঠি হতে পারে না।  হিসেব করা হয়েছে মাত্র ৩০০০ জনের নমুনার সমীক্ষার উপর ভিত্তি করে।”

ছবি ঋণ Rediff.com

Your Opinion

We hate spam as much as you do