আমেরিকাকে তোপ দেগে সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের কৃষি, বস্ত্র শিল্প, দুগ্ধজাত শিল্প সব আক্রমণের মুখে। এর মধ্যে অন্যায় ভাবে ৫০% আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। সাম্রাজ্যবাদ আমাদের মতো দেশগুলির মেহনতি মানুষকে বিপন্ন করছে।’’ পাশাপাশিই তাঁর মন্তব্য, ‘‘গোটা বিশ্বে যারা যুদ্ধের ব্যবসা করে, তারা আমাদের মাথায় যুদ্ধের উন্মাদনা ঢোকায়। প্রধানমন্ত্রী মোদী এখন চিনে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আজ চিন-ভারত বলছে, তারা একে অপরের সঙ্গী। আমরা এই কথা বললে আমাদের ‘চিনের দালাল’ বলা হয়!’’
বামদলগুলোর সাম্রাজ্যবাদ -বিরোধী দিবসে শান্তি মিছিলে উপচে পড়ল রাজপথ
১লা সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাম দলগুলির ডাকা শান্তি মিছিলে ভিড় উপচে পড়ল রাজপথে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্ক-নীতির প্রতিবাদে এবং প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সোমবার ‘সাম্রাজ্যবাদ-বিরোধী দিবসে’ এই মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বামফ্রন্টের সব শরিক দলের পাশাপাশি সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন এবং এসইউসি অংশগ্রহণ করেছিল এই প্রতিবাদে। শামিল হয়েছিল বামপন্থী বিভিন্ন ছাত্র ও শিক্ষক সংগঠনও। আশেপাশের এলাকা ও জেলা থেকে বাম সমর্থকেরা প্রথমে হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশন থেকে দু’টি মিছিল নিয়ে ধর্মতলায় এসেছিলেন। তার পরে লেনিন মূর্তির কাছে জমায়েত হয়ে মিছিল যায় কলেজ স্কোয়ারের দিকে। বাম নেতারা চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ধরে মিছিল নিয়ে যেতে চাইলেও পুলিশের অনুরোধে লেনিন সরণি হয়ে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার ঘুরে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট ধরে কলেজ স্কোয়ারের দিকে এগিয়েছে শান্তি মিছিল। সেই মিছিলের মাথা যখন সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার ছাড়িয়েছে, তখনও ধর্মতলার মোড়ে অপেক্ষমান ছিল ভিড়ের শেষ ভাগ। মিছিলের চাপে ধর্মতলার সঙ্গে সংযুক্ত সব রাস্তায় যান চলাচল থমকে গিয়েছিল। বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু, সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম-সহ বাম দলগুলির শীর্ষ নেতৃত্ব নেমেছিলেন পথে। মিছিল শুরুর আগে আমেরিকাকে তোপ দেগে সেলিম বলেন, ‘‘আমাদের কৃষি, বস্ত্র শিল্প, দুগ্ধজাত শিল্প সব আক্রমণের মুখে। এর মধ্যে অন্যায় ভাবে ৫০% আমদানি শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। সাম্রাজ্যবাদ আমাদের মতো দেশগুলির মেহনতি মানুষকে বিপন্ন করছে।’’ পাশাপাশিই তাঁর মন্তব্য, ‘‘গোটা বিশ্বে যারা যুদ্ধের ব্যবসা করে, তারা আমাদের মাথায় যুদ্ধের উন্মাদনা ঢোকায়। প্রধানমন্ত্রী মোদী এখন চিনে গিয়ে চিনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক করছেন। আজ চিন-ভারত বলছে, তারা একে অপরের সঙ্গী। আমরা এই কথা বললে আমাদের ‘চিনের দালাল’ বলা হয়!’’
We hate spam as much as you do