প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের ব্যাংকগুলো এই আবেদনে কিভাবে সাড়া দেবেন। এক্ষেত্রে এডুকেশন লোনের জন্য বরাদ্দ সুদ একই থাকবে নাকি কমবে? রাজ্য সরকারের গ্যারান্টার হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষদের কতটা সাড়া মিলবে। সবটাই সময় বলবে।
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনায় প্রায় পঁচিশ হাজার ছাত্রছাত্রীর শিক্ষা ঋণের আবেদন ইতিমধ্যেই
মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনা। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনার ঋণএর আবেদনের পাহাড় জমছে বলে খবর। এরই মধ্যে প্রায় ২৫০০০ ছাত্রছাত্রীর প্রায় ১৩৫৫ কোটি টাকার ঋণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। শুধু এ রাজ্যের পড়ুয়ারাই নন, আবেদন করেছেন রাজ্যের বাইরে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরাও।
গত ৩০ জুন নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন পড়ুয়ারা। শুধু দেশে নয়, বিদেশে পড়াশোনা করার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা পাওয়া যাবে। ৪০ বছর বয়স পর্যন্ত এই ঋণ নেওয়া যাবে। ১৫ বছর ধরে সেই ঋণ শোধ করা যাবে। মুখ্যমন্ত্রী সেদিন ঘোষণা করেন, ছেলেমেয়েরা পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়ার পর ঋণ মেটাতে পারবেন। রাজ্যের সব ব্যাঙ্ক থেকে এই ঋণ নেওয়া যাবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “অভিভাবকদের আর ছেলেমেয়ের ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। প্রত্যেকের স্বপ্ন পূরণ হবে। সে কারণেই আমরা স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দিচ্ছি।”
৩০ জুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরই শিক্ষা দফতর বিজ্ঞপ্তি জারি করে। নবান্ন সূত্রে খবর, ৯ জুলাই পর্যন্ত মোট আবেদন জমা পড়েছে ২৫,৮৪৭ টি। প্রায় ১৩৫৫ কোটি টাকার ঋণ চেয়ে আবেদন জমা পড়েছে। মোট আবেদনকারীর মধ্যে ছাত্র রয়েছেন ১৬,৩৮৪ জন। ছাত্রীর সংখ্যা ৯,৪৬১। শুধু পশ্চিমবঙ্গের আবেদনকারী ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যাই ১৯,৯৪৮ জন। বাইরে পড়াশোনা করেন এমন আবেদনকারীর সংখ্যা ৫,৮৯৯।
পড়ুয়াদের সুবিধার জন্য অনলাইন আবেদন জমা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আলাদা পোর্টাল করা হয় সেই আবেদন নেওয়ার জন্য। একইসঙ্গে কেউ চাইলে এগিয়ে বাংলা পোর্টাল কিংবা উচ্চশিক্ষা দফতরের পোর্টালেও আবেদন করতে পারেন। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের গ্যারান্টার হবে রাজ্য সরকার। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা ও তার প্রশিক্ষণের জন্যেও ছাত্রছাত্রীরা এই কার্ডের মাধ্যমে ঋণ নিতে পারবেন। কোর্স ফি, টিউশন ফি, কম্পিউটার, ল্যাপটপ কেনার জন্যেও ঋণ দেওয়া হবে। কেউ চাইলে এক বারে ১০ লক্ষ টাকা ঋণ নিতে পারেন, আবার কেউ ধাপে ধাপে ২ লক্ষ টাকা বা ৪ লক্ষ টাকা করেও ঋণ নিতে পারেন।
প্রশ্ন হচ্ছে রাজ্যের ব্যাংকগুলো এই আবেদনে কিভাবে সাড়া দেবেন। এক্ষেত্রে এডুকেশন লোনের জন্য বরাদ্দ সুদ একই থাকবে নাকি কমবে? রাজ্য সরকারের গ্যারান্টার হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক কতৃপক্ষদের কতটা সাড়া মিলবে। সবটাই সময় বলবে।
We hate spam as much as you do