মিছিল রুখতে তিন জায়গায় ব্যারিকেড ছিল। মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মৌলালি। এসএন ব্যানার্জি রোডেও ব্যারিকেড ছিল । ডোরিনা ক্রসিংয়েও ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। দফায় দফায় রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মৌলালি, ধর্মতলা। মিছিল রুখতে শেষে ব্যারিকেড, জলকামান নিয়ে পুলিশ আটকানো শুরু করে এবং গ্রেপ্তার করে দিয়ে যায় মিছিল এর ছাত্র ছাত্রীদের।
আনিশ হত্যার বিচারের দাবীতে, স্লোগানে মুখর ধুন্ধুমার রাজধানী পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, গ্রেপ্তার
Justice for Anis Khan.
ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়েছে মিছিল। উত্তাল শহর। আনিস খান হত্যার বিচারের
দাবীতে হাজার হাজার ছাত্র যুবর মিছিল এগিয়েছে।
মিছিলে হেঁটেছেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, “সিট তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। কিন্তু কেন করেছে, সেটা বলছে না। ওরা যত নিজেদের আড়াল করার চেষ্টা করছে, ততই ফেঁসে যাচ্ছে। রাত তিনটেয় ফোন করেছে,সকাল ৯টায় এসেছে। টিম রিপোর্ট করেনি, ব্যারিকেড করেনি। এর পিছনে বড় চক্রান্ত রয়েছে। “
ফুঁসেছে কলকাতা। পরিকল্পনাবিহীন অন্য রুটে এগোতে থাকে মিছিল। মৌলালিতে ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে থাকে মিছিল। শিয়ালদার দিকে মিছিল এগোতে থাকে। গোটা শহরের প্রাণকেন্দ্র অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তায় সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে যায় গাড়ি। মৌলালিতে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় ছাত্রদের। পুলিশ কার্যত নাস্তানাবুদ হয়ে যায়। মিছিলের রুট প্রকাশ্যে বলতে চাইছেন না বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা।
আনিসের বাড়িতে বিক্ষোভের মুখে সিট
মঙ্গলবার দুপুরে আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছয় সিট। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন সিটের তদন্তকারী আধিকারিকরা। বাড়ির ভিতরে মিডিয়াকেও ঢুকতে দিতে হবে, এই দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। আনিস খানের বাড়ির বাইরে উত্তেজনা।
আনিস রহস্যে ক্রমেই জড়াচ্ছে পুলিশ। ‘ওই রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিশই গিয়েছিল’। তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে উঠে আসছে তথ্য। আনিসকাণ্ডের তদন্তে নেমে সিট সাসপেন্ড করেছে আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে। তবে শুধু সাসপেনশনই যথেষ্ট নয়। দোষীদের চিহ্নিত করে যোগ্য শাস্তি দিতে হবে। সিট তদন্ত সত্ত্বেও সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের দাদা সাবির খান। বাড়ির ছেলেকে মেরে দিয়ে এবার সাসপেন্ড করে কি হবে! আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীর সাসপেনশনের পরেও ক্ষোভে ফুঁসছে আনিস খানের পরিবার।
বুধবার ফের নবান্ন অভিযানের ডাক আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের। আনিসকাণ্ডে পথে নেমে প্রতিবাদ। ছাত্র মৃত্যুতে এবার শহর কলকাতার পথে আজাদি স্লোগান। ব্যানার, পোস্টারে ছয়লাপ তিলোত্তমা।
দফায় দফায় রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা।
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি মিছিল বেরিয়েছে। দুটি মিছিলেরই গন্তব্য ডোরিনা ক্রসিং, রুট ভিন্ন। একটি মিছিল পার্কস্ট্রিট থেকে মৌলালির দিকে এগিয়েছে। আরেকটি মিছিল এসএন ব্যানার্জি রোডে ছিল। তৎপর ছিল পুলিশ প্রশাসনও। মিছিল রুখতে তিন জায়গায় ব্যারিকেড ছিল। মিছিলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মৌলালি। এসএন ব্যানার্জি রোডেও ব্যারিকেড ছিল । ডোরিনা ক্রসিংয়েও ব্যারিকেড করেছে পুলিশ। দফায় দফায় রাস্তায় শুয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন পড়ুয়ারা। বিক্ষোভের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে মৌলালি, ধর্মতলা। মিছিল রুখতে শেষে ব্যারিকেড, জলকামান নিয়ে পুলিশ আটকানো শুরু করে এবং গ্রেপ্তার করে দিয়ে যায় মিছিল এর ছাত্র ছাত্রীদের।
We hate spam as much as you do