Tranding

03:40 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / দেউচা পাচামির পদযাত্রা পৌঁছল পানাগড়ে। বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল পুলিশের আগ্রাসনের পর

দেউচা পাচামির পদযাত্রা পৌঁছল পানাগড়ে। বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল পুলিশের আগ্রাসনের পর

প্রস্তাবিত কয়লাখনি তৈরির বিরোধিতায় কলকাতা থেকে দেউচা পাঁচামি পদযাত্রা শুরু হয় জনমঞ্চের আন্দোলনকারীরা। কলকাতার তপন থিয়েটারে জনমঞ্চের প্রথম সন্মেলন আয়জিত হয় গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি রবিবার। সেখানেই ওই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল।

দেউচা পাচামির পদযাত্রা পৌঁছল পানাগড়ে। বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল পুলিশের আগ্রাসনের পর

দেউচা পাচামির পদযাত্রা পৌঁছল পানাগড়ে। বিক্ষোভ আছড়ে পড়ল পুলিশের আগ্রাসনের পর


People's Forum Against Politics of Hatred. এখন শিরোনাম। দেউচা পাচামির উদ্দেশ্যে কলাখনির বিরোধিতায় গত ১৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা থেকে পদযাত্রা শুরু হয়।
ইতোমধ্যে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান পেরিয়ে বীরভূম জেলায় প্রবেশ করেছে পদযাত্রা। হাজারো মানুষ এই পদযাত্রায় যুক্ত হচ্ছেন, সাথে হাঁটছেন, সমর্থন করছেন।
পদযাত্রা এসে পৌঁছল পানাগড়ে। 

এদিন পদযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিদ্বেষের রাজনীতি বিরোধী মঞ্চের আহ্বায়ক জয়রাজ ভট্টাচার্য  প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোম, সিপিআইএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকার, বীরেশ্বর মন্ডল, অলোক ভট্টাচার্য্য সহ কাঁকসা অঞ্চলের বাম কর্মী সমর্থকরা। এই পদযাত্রার অঙ্গ হিসেবে আজ বোলপুরে একটি পথসভা ছিল,  পুলিশ এসে গ্রেফতার করে বীরভূমের বামকর্মী সমর্থকদের । 
 খানিক আগে অবশেষে মুক্তি পান সমর্থকরা।  
আগামীকাল, ১৯ তারিখ সকালে ঐ বোলপুর থেকেই আবারও শুরু হবে পদযাত্রা। আরও অনেক বেশি মানুষের সমাগম হবে আগামীকাল থেকে বলে জানা যায় ।

প্রস্তাবিত কয়লাখনি তৈরির বিরোধিতায় কলকাতা থেকে দেউচা পাঁচামি পদযাত্রা শুরু হয় জনমঞ্চের আন্দোলনকারীরা। কলকাতার তপন থিয়েটারে জনমঞ্চের প্রথম সন্মেলন আয়জিত হয় গত ১৩ই ফেব্রুয়ারি  রবিবার। সেখানেই ওই কর্মসূচী নেওয়া হয়েছিল।
ঐ সম্মেলন থেকে জনমঞ্চের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন জয়রাজ ভট্টাচার্য, এবং উপদেষ্টা মন্ডলীর সভাপতি নির্বাচিত হন শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দেউচা পাঁচামি প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রতিরোধ আন্দোলন পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, আদিবাসীদের জমি ও জঙ্গলের অধিকার, সংস্কৃতি ও জীবন রক্ষার সংগ্রামের প্রশ্নকে সামনে রেখেই ওই কর্মসূচী বলে জানিয়েছে জনমঞ্চ।

আন্দোলনকারীদের অভিযোগ,দেউচা পাঁচামিতে প্রস্তাবিত কয়লা খনি তৈরি আসলে একটি প্রতারণামূলক পরিকল্পনা। প্রকল্পের বিরোধিতায় জনমত গড়ে তুলতে রাজ্যজুড়ে সদস্যরা পায়ে হেঁটে দেউচা পাঁচামি যাবে। ২১শে ফেব্রুয়ারি পৌঁছবে।
পাশাপাশি একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হবে দেউচা পাঁচামিতে।

অভিযোগ, প্রস্তাবিত কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জোর করে কোন জমি না নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। কিন্ত বাস্তবে বীরভূম জেলার পুলিশ–প্রশাসন ও শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস নানারকম ছল–চাতুরি, তথ্যের কারচুপি, হুমকি এবং বলপ্রয়োগের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের উপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে জানা যাচ্ছে । স্থানীয়রা ‘স্বেচ্ছায়’ জমি দিয়ে দিচ্ছে বলে একটি বিভ্রান্তিকর, মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do