রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভয়ানক, ডেকেও সাড়া মিলল না আচার্য-উপাচার্যদের, ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল।
রাজ্যপালের ডাকে আচার্য-উপাচার্য এলেন না। শিক্ষাব্যবস্থাকে দূষলেন।
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভয়ানক, ডেকেও সাড়া মিলল না আচার্য-উপাচার্যদের, ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল
‘মমতা সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থায় ভয়াবহ পরিস্থিতি । রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে এলেন না। রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চলছে।’
রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা ভয়ানক, ডেকেও সাড়া মিলল না আচার্য-উপাচার্যদের, ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যপাল
শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে অসন্তুষ্ট রাজ্যপাল।
রাজ্যের বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন ব্যবস্থা নিয়ে এ বার তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে শাসকদল নিজেদের আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য এবং উপাচার্যকে রাজভবনে ডেকেছিলেন তিনি। রাজ্যপালের অভিযোগ, তাঁরা কেউ দেখা করতে আসেননি।
শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিয়ে টুইট করেছেন তিনি। সেখানেই এই অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপাল লিখেছেন, ‘মমতা সরকারের আমলে শিক্ষাব্যবস্থায় চিত্রটা ভয়াবহ। রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আচার্য এবং উপাচার্য রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে এলেন না। রাজ্যে শিক্ষাব্যবস্থায় সংগঠন বিস্তারের চেষ্টা চলছে।’
চলতি মাসের ২০ তারিখ রাজ্যপাল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১ জন উপাচার্য ও আচার্যকে ডাকেন একটি বৈঠকে যোগদানের জন্য। শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ক আলোচনার জন্য ডেকেছিলেন তিনি। উপাচার্য ও আচার্যরা সম্মিলিতভাবে একটি চিঠি করেন রাজ্যপালকে। তাঁরা জানিয়েছিলেন, কোভিডের কারণে তাঁরা এই মুহূর্তে রাজভবনে যেতে পারছেন না। রাজ্যপাল তাঁর প্রত্যুত্তরে বলেন. কোভিডের কথা মাথায় রেখে রাজভবনে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে। তাতে বৈঠকে যোগদানের বিষয়ে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। ২৩ তারিখ আসার কথা বলেন।
কেন আচার্য ও উপাচার্যরা আসছেন না, তা ক্ষোভ উগরে একটি চিঠি লেখেন রাজ্যপাল। সেটিও টুইট করেন তিনি। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই সাড়ে তিনটের সময়ে রাজভবনে যাওয়ার কথা ছিল উপাচার্য ও আচার্যদের। কিন্তু দেখা যায়, তাঁরা কেউই রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যাননি।
রাজভবনে ফাঁকা আসনের ছবি তুলে ধরে পাল্টা টুইট করেন রাজ্যপাল। তিনি টুইটে লেখেন, এর আগে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের তিনি ডেকেছিলেন, তাঁরাও কেউ আসেননি। উপাচার্য নিয়োগে আচার্যকে অবহেলা করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অমল মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যপাল হচ্ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটর। ভিজিটর হিসাবে তাঁর বিশেষ ক্ষমতা নেই, এটা ঠিক কথা। কিন্তু ভিজিটর হিসাবে তিনি যদি উপাচার্যদের সঙ্গে দেখা করতে চান, তাহলে যেতে অসুবিধা কোথায়? এটা মনে রাখতে হবে রাজ্যপাল হচ্ছেন রাজ্যের প্রশাসনিক মাথা। তিনি যদি একটু কথা বলতে চান, দেখা করতে চান, তাহলে যেতে কোনও সমস্যা হওয়ার কোনও কথা নয়। তিনি তো কোনও নির্দেশ দিচ্ছেন না। এর আগেও সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ডাকেন, তাঁরাও যাননি। এটা শিষ্টাচারের অভাব দেখা দিচ্ছে।”
রাজ্যপাল টুইটে উল্লেখ করেছেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্য সরকার, তাতে আচার্যর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসির হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, ইউজিসি বিষয়টি খতিয়ে দেখুক। তাঁর প্রশ্ন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রেও আচার্যকে না জানিয়ে কীভাবে নিয়োগ করা হচ্ছে উপাচার্য?
We hate spam as much as you do