ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, আগেকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ডিসেম্বরে সংশোধিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এরপর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে এনরেগার টাকা বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে ২৭ নম্বর ধারা প্রত্যাহার করছে কিনা সেব্যাপারে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
দুর্নীতির অভিযোগে MGNREGA-এ ২০২৩-২৪ এর টাকা আটকে দিল কেন্দ্র
Tuesday, March 21, 2023
প্রকল্পের বাস্তবায়নে নিয়ম লঙ্ঘন এবং অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ জমা পড়েছিল কেন্দ্রের কাছে। তারই প্রেক্ষিতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য নরেগার টাকা আটকে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এক্ষেত্রে MGNREGA-এর ২৭ নম্বর ধারা আরোপ করার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
সমীক্ষার ভিত্তিতে এনরেগায় টাকা দেওয়ার নিয়ম চালু হয় ২০২১-এর ডিসেম্বর থেকে। সেই সময় পশ্চিমবঙ্গে বড় আকারের দুর্নীতি এবং নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোদ ওঠে। তারপর থেকেই এই প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গের জন্য বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে এই প্রকল্পে কেন্দ্রের কাছে রাজ্য সরকারের পাওয়া রয়েছে ৭৫০০ কোটির মতো। এর মধ্যে শুধু মজুরির পরিমাণ হল ২৭৪৪ কোটি টাকার মতো। আইনের অধীনে কাজ করার পরে টাকা পাওয়ার অধিকার থাকলেও মজুরির টাকা পাননি বহু মানুষ। তাঁদের কোনও ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি।
MGNREGA নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আধিকারিকদের সঙ্গে কেন্দ্রের আধিকারিকদের বৈঠক হয় ১৩ মার্চ। তারপরেই কেন্দ্রের তরফে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের জন্য নরেগায় বরাদ্দ না করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে কেন্দ্রীয় সরকার নরেগার টাকা বন্ধ করার কারণ জানায়নি বলেও রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন।
ওই আধিকারিক আরও বলেছেন, আগেকার অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বছরের সেপ্টেম্বরে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা নিয়ে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছিল। এরপর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের অতিরিক্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ডিসেম্বরে সংশোধিত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এরপর গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক পশ্চিমবঙ্গের বিরুদ্ধে এনরেগার টাকা বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে ২৭ নম্বর ধারা প্রত্যাহার করছে কিনা সেব্যাপারে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ওই আধিকারিক।
এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকার ৩২ কোটি শ্রম দিবসের জন্য টাকা চেয়েছিল। গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে ২০২১-২২ সালে ৩৬ কোটি, ২০২০-২১-এ ৪১ কোটি, ২০১৯-২০-তে ২৭ কোটি এবং ২০১৮-১৯-এ ৩৩ কোটি শ্রম দিবসের জন্য টাকা পেয়েছিল রাজ্য সরকার।
গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গই হল ব্যতিক্রমী রাজ্য যেখানে রাজ্যের বিরুদ্ধে নরেগার ২৭ নম্বর ধারা প্রয়োগ করে টাকা আটকে রাখা হয়েছে। ২৭ ধারায় কেন্দ্রীয় সরকার অভিযোগ পাওয়ার পরে নিজে কিংবা কোনও সংস্থাকে নিয়ে তদন্ত করতে পারে। প্রয়োজন হলে টাকা বরাদ্দ বন্ধের আদেশও দিতে পারে।
তবে কেন্দ্রের এনরেগা টাকা বন্ধের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত মজুর সমিতির তরফে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করা হয়েছে। গত ১৫ মাস ধরে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করে কেন শাস্তি দিতে পারল না কেন্দ্রীয় সরকার, সেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে সংগঠনের তরফে।
We hate spam as much as you do