Tranding

03:45 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / দুষ্কৃতীরা নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারল, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ হাইকোর্টের

দুষ্কৃতীরা নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারল, প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারের নির্দেশ হাইকোর্টের

আদালতের নির্দেশে সোমবার আদালতে হাজিরা দেন নরেন্দ্রপুর থানার আইসি। এদিনই বিচারপতি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক-সহ FIR এ নাম থাকা সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। বিচারপতির নির্দেশ, সোমবার রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে। আপাতত স্কুলে ঢুকতে পারবেন না ওই প্রধান শিক্ষক।

দুষ্কৃতীরা নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারল, প্রধান শিক্ষককে  গ্রেফতারের নির্দেশ হাইকোর্টের

দুষ্কৃতীরা নরেন্দ্রপুরের স্কুলে ঢুকে শিক্ষককে মারল, প্রধান শিক্ষককে  গ্রেফতারের নির্দেশ হাইকোর্টের


 Jan 29, 2024 

 
 নরেন্দ্রপুরের বলরামপুরের এমএন বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রধান শিক্ষককে গ্রেফতারির নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। প্রধান শিক্ষক-সহ বাকি অভিযুক্তদের গ্রেফতারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। আপাতত স্কুলে ঢুকতে পারবেন না ওই প্রধান শিক্ষক। সোমবার রাতের মধ্যেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২৭ জানুয়ারি নরেন্দ্রপুরে বলরামপুর এম এন বিদ্যামন্দিরে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। ক্লাস নিচ্ছিলেন শিক্ষকরা। সে সময়ে দুষ্কৃতীরা ভিতরে ঢুকে শিক্ষকদের বেধড়ক মারধর করে। বাধা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হয় ছাত্ররাও।  স্কুলের এই ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেন কেউ। সেটিই ভাইরাল হয়ে পড়ে। ঘটনার দৃশ্য দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত হয়ে পড়ে শিক্ষামহল। বিতর্কের ঝড় ওঠে।

 

আক্রান্ত শিক্ষকদের অভিযোগ, স্কুলের প্রধান সৈয়দ ইমতিয়াজ আহমেদের নির্দেশেই এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পরই সেদিন পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে ২ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। আদালত ভিডিয়ো দেখে কয়েকজনকে চিহ্নিতও করে। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। আদালত নরেন্দ্রপুর থানার আইসিকে ডেকে পাঠায়

আদালতের নির্দেশে সোমবার আদালতে হাজিরা দেন নরেন্দ্রপুর থানার আইসি। এদিনই বিচারপতি অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক-সহ FIR এ নাম থাকা সকল অভিযুক্তকে  গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। বিচারপতির নির্দেশ, সোমবার রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করতে হবে। আপাতত স্কুলে ঢুকতে পারবেন না ওই প্রধান শিক্ষক।


আদালত আরও নির্দেশ দিয়েছে, স্কুলের বাকি শিক্ষকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। মাধ্যমিক পরীক্ষার জন্য নতুন সেন্টার ইনচার্জ নিয়োগ করবে বলে জানিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এদিনের শুনানির সময়ে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, “কারা স্কুলে লুঠপাট চালাল? পঞ্চায়েত সদস্যরা ? তারা কীভাবে শিক্ষা ব্যবস্থায় উৎসাহী হয়ে পড়ল?”

যদিও প্রধান শিক্ষকের আইনজীবীর বক্তব্য, “আমরা ডিভিশন বেঞ্চে যাব। কারণ এখানে প্রধান শিক্ষক কোনওভাবেই দায়ী নন। এখানে শিক্ষকরা একটা অভিসন্ধী করেছেন, প্রধান শিক্ষককে যে কোনও মূল্যে স্কুল থেকে তাড়াতে হবে। এটা তারই চেষ্টা।”

এদিকে, ২৭ জানুয়ারির ঘটনার পর সোমবারও স্কুলে পড়ুয়াদের মধ্যে দেখা গেল আতঙ্কের ছাপ। ৭০০ জন ছাত্রের মধ্যে এদিনের উপস্থিতির হার ৫০! শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর সংখ্যা যেখানে ৫০ এর মত সেখানে এদিন মাত্র উপস্থিত হয়েছেন ১৭ জন। অধিকাংশ ক্লাসরুম ফাঁকা। মাত্র ১৪ জন শিক্ষক উপস্থিত। তাদের নিয়েই কোন রকমে চলছে স্কুল।

Your Opinion

We hate spam as much as you do