সোমবারই জাতিসংঘ জানিয়েছিল, তেল না ঢুকলে ইনকিউবেটরে থাকা অসংখ্য শিশুর মৃত্যু হবে। বয়স্ক মানুষ যারা কৃত্রিম অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন, তাদেরও মৃত্যু হবে। কিন্তু নেতানিয়াহু সে কথায় কর্ণপাত পরেননি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘প্রতি মুহূর্তে হামাসের যোদ্ধাদের চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু হামাস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
'যুদ্ধ বিরতি হবে না' বলে গাজায় নানাভাবে গণহত্যা চালাচ্ছে ইসরাইল
০৮ নভেম্বর ২০২৩
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, গাজা শহর ঘিরে ফেলেছে ইসরাইলের সেনা। গাজার ভিতরেও তারা অভিযান শুরু করেছে। তিনি জানিয়েছেন, যুদ্ধ বিরতির প্রশ্নই ওঠে না। যতক্ষণ না হামাস ইসরাইল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া পণবন্দিদের মুক্তি দেবে, ততক্ষণ যুদ্ধবিরতির হবে না। এমনকী, তেলও ঢুকতে দেয়া হবে না না গাজায়।
বস্তুত, সোমবারই জাতিসংঘ জানিয়েছিল, তেল না ঢুকলে ইনকিউবেটরে থাকা অসংখ্য শিশুর মৃত্যু হবে। বয়স্ক মানুষ যারা কৃত্রিম অক্সিজেন সাপোর্টে আছেন, তাদেরও মৃত্যু হবে। কিন্তু নেতানিয়াহু সে কথায় কর্ণপাত পরেননি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘প্রতি মুহূর্তে হামাসের যোদ্ধাদের চ্যালেঞ্জ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই বহু হামাস যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।’ হামাসের কয়েক হাজার যোদ্ধাকে মারা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন নেতানিয়াহু। যদিও হামাসের তরফে এর কোনো সত্যতা জানা যায়নি।
ইসরাইলের সামরিক প্রধান জানিয়েছন, বেসামরিক মানুষদের আগেই বলা হয়েছে, তারা যেন দক্ষিণ গাজায় গিয়ে আশ্রয় নেন। যারা জাননি, তাদের প্রাণের দায়িত্ব ইসরাইলের নয়। এদিকে, জাতিসংঘে ফিলিস্তিন বিষয়ক সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, গাজা স্ট্রিপে ইতিমধ্যেই ৮৯ জন জাতিসংঘের কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। যে কোনো লড়াইয়ের নিরিখে এখনো পর্যন্ত যা সর্বাধিক। এছাড়া ২৬ জন আহত হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাইরে কাউকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
জাতিসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ গাজায় এখন গৃহহীন। তাদের অনেকেই বিভিন্ন জায়গায় শেল্টার ক্যাম্প করে আছেন। এদিকে জো বাইডেনের হোয়াইট হাউসের এক প্রতিনিধি মঙ্গলবার কার্যত কাউকে না জানিয়ে লেবানন গেছিলেন। কেয়ারটেকার প্রধানমন্ত্রী এবং অন্য প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন। লেবানন থেকে যাতে লড়াই থামানো হয়, তার আর্জি জানিয়ে এসেছেন তিনি। সূত্র: ডয়চে ভেলে
We hate spam as much as you do