শনিবার দার্জিলিংয়ে দলের টাউন কমিটির ডাকে এক সভায় যোগ দিয়ে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জিটিএ'র ভোট রাজ্য জোর করে করাতে চাইলে চৌরাস্তায় আমরণ অনশনে বসবেন তিনি। তার আগে রিলে অনশন হবে। কেন চৌরাস্তায় অনশন? গুরুংয়ের সাফ যুক্তি, পাহাড়ে পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছেন। সবাই জানে পাহাড় শান্ত। রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই পাহাড়ে। বাস্তবে কী ছবি, তা দেখতে পারবেন পর্যটকেরা।
জোর করে জিটিএ ভোট করালে চৌরাস্তায় অনশনে বসবেন বিমল গুরুং
জিটিএ আর নয়। চাই বিকল্প। আগে পাহাড়ের রাজনৈতিক স্থায়ী সমাধান করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় নিজেই জলপাইগুড়িতে বিধানসভা নির্বাচনী প্রচার এবং কার্শিয়ংয়ের প্রশাসনিক বৈঠকে এই সমস্যার সমাধান হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন। অথচ এখন জিটিএ ভোট করতে চাইছে রাজ্য। গত মাসে পাহাড় সফরে এসেও আঞ্চলিক তিন দলের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেও মোর্চা প্রতিনিধি দল সাফ জানিয়ে দেয়, জিটিএ ভোট চাই না। জিটিএ'র নির্বাচনের বিরোধীতায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। পুরনো সিদ্ধান্তেই অটুট তারা।
শনিবার দার্জিলিংয়ে দলের টাউন কমিটির ডাকে এক সভায় যোগ দিয়ে মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, জিটিএ'র ভোট রাজ্য জোর করে করাতে চাইলে চৌরাস্তায় আমরণ অনশনে বসবেন তিনি। তার আগে রিলে অনশন হবে। কেন চৌরাস্তায় অনশন? গুরুংয়ের সাফ যুক্তি, পাহাড়ে পর্যটকেরা ভিড় জমিয়েছেন। সবাই জানে পাহাড় শান্ত। রাজনৈতিক অস্থিরতা নেই পাহাড়ে। বাস্তবে কী ছবি, তা দেখতে পারবেন পর্যটকেরা।
গত এপ্রিলে কালিম্পংয়ে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দেয় মোর্চা। যদিও সেই বৈঠকে অনীত থাপা, অজয় এডওয়ার্ডদের দল অংশ নেয়নি। ওই বৈঠকের গৃহীত সিদ্ধান্ত মুখ্যমন্ত্রীর কথা মতোই তারা একটি বিকল্প প্রস্তাব রাজ্যের কাছে পাঠিয়েছেন। দ্রুত পাহাড় নিয়ে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ডাকারও দাবী জানিয়েছেন তিনি। আজ এই ইস্যুতে ২ পাতার চিঠিও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছেন গুরুং। তিনি লিখেছেন ২০১১ সালে জিটিএ চুক্তি সাক্ষরিত হওয়ার সময়ে যা যা উল্লেখ ছিল, তার অনেকটাই কার্যকরী হয়নি। আগে সেগুলি মেটাক। নইলে ২১ বছর ধরে বন্ধ থাকা পাহাড়ের পঞ্চায়েত নির্বাচনও হোক।
জিটিএ নির্বাচনের পক্ষে রয়েছে ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা এবং হামরো পার্টি। বিরোধিতায় বিজেপি, জিএনএলএফ সহ আরও কয়েকটি দল। এদিন জিটিএ বিরোধী সব দলকে নিয়ে একযোগে আন্দোলনেরও ডাক দিয়েছেন গুরুং। তাহলে কি বিজেপির সঙ্গে এক মঞ্চে ফের গুরুং? গুরুংয়ের চটজলদি জবাব, "না"!
We hate spam as much as you do