স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা শান্তিপুর এলাকা জুড়ে গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের কাজ চলছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকে তাঁদের আগে কোনও রকম তথ্য বা নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই বাড়িতে কয়েকজন কর্মী এসে পুরনো মিটার খুলে নতুন স্মার্ট মিটার বসিয়ে যান। এর পরই শুরু হয় বিপত্তি।
‘স্মার্ট মিটার’ মারাত্মক! ১০০ টাকা রিচার্জ ১ ঘন্টায় শেষ” WBSEDCL এর দপ্তরে গ্রাহক বিক্ষোভ
14 এপ্রিল 2025
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের উদ্যোগে স্মার্ট মিটার বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। তবে এই মিটার বসানোর পর থেকেই অস্বাভাবিক হারে রিচার্জ শেষ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ তুলছেন বহু গ্রাহক। গত সোমবার ৮ই এপ্রিল এমনই অভিযোগ নিয়ে নদিয়ার শান্তিপুরে বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন স্থানীয় গ্রাহকরা।
একাধিক গ্রাহকের অভিযোগ, বিদ্যুৎ দফতরের কোনও রকম সুস্পষ্ট নির্দেশিকা ছাড়াই তাঁদের বাড়িতে পুরনো ইলেকট্রিক মিটার পাল্টে নতুন স্মার্ট মিটার লাগানো হয়েছে। নতুন এই মিটারে বিদ্যুৎ বিল কীভাবে আসছে, তা বুঝে উঠতে পারছেন না অনেকেই। গ্রাহকদের দাবি, এই সমস্যার কথা একাধিকবার দফতরে জানানো হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। অবশেষে বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা শান্তিপুর এলাকা জুড়ে গত কয়েক মাস ধরে বিদ্যুৎ মিটার পরিবর্তনের কাজ চলছে। গ্রাহকদের অভিযোগ, এই বিষয়ে বিদ্যুৎ দফতরের তরফ থেকে তাঁদের আগে কোনও রকম তথ্য বা নির্দেশিকা দেওয়া হয়নি। হঠাৎ করেই বাড়িতে কয়েকজন কর্মী এসে পুরনো মিটার খুলে নতুন স্মার্ট মিটার বসিয়ে যান। এর পরই শুরু হয় বিপত্তি।
স্মার্ট মিটারের নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল রিচার্জের মতো আগে টাকা রিচার্জ করতে হয়। ন্যূনতম রিচার্জের পরিমাণ ধার্য করা হয়েছে ১০০ টাকা। কিন্তু গ্রাহকদের অভিযোগ, সেই ১০০ টাকা রিচার্জ করার পরেও অনেক সময় দেখা যাচ্ছে এক ঘণ্টার মধ্যেই রিচার্জ শেষ হয়ে যাচ্ছে। অনেকেরই দাবি, তাঁরা কী পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন এবং কোন হিসাবে টাকা কাটা হচ্ছে, তা একেবারেই বোধগম্য হচ্ছে না। বিক্ষোভকারী গ্রাহকদের মূল দাবি, অবিলম্বে পুরনো যে ইলেকট্রিক মিটারগুলি ছিল, সেগুলিকে পুনরায় চালু করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে শান্তিপুর বিদ্যুৎ স্টেশনের ম্যানেজার মানিক তপন কুমার সাঁতরা বলেন, ‘সম্পূর্ণ বিদ্যুৎ দফতরের নিয়ম মেনেই মিটার পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে গ্রাহকরা যে সমস্যার কথা বলছেন, সেই বিষয়ে আমরা ইতিমধ্যেই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিতভাবে জানিয়েছি। তাঁরা যে সিদ্ধান্ত এবং যে নির্দেশিকা জারি করবেন, সেই অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’ বিদ্যুৎ দফতর আগামী দিনে গ্রাহকদের সঙ্গে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করার বিষয়েও চিন্তাভাবনা করছে বলে তিনি জানান।
শান্তিপুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক মানিক তপন কুমার সাঁত্রা অভিযোগের জবাবে বলেছেন যে বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে মিটার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন যে বিভাগ গ্রাহকদের উত্থাপিত সমস্যাগুলি সম্পর্কে অবগত এবং ইতিমধ্যেই সমস্যাগুলি সম্পর্কে উচ্চতর কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছে। বিদ্যুৎ বিভাগ আগামী দিনে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকদের সাথে তাদের উদ্বেগের সমাধান এবং সমাধান খুঁজে বের করার জন্য একটি আলোচনা সভা করার পরিকল্পনা করছে।
স্মার্ট মিটার স্থাপনের পর কী সমস্যা?
কয়েক মাস আগে শান্তিপুরে স্মার্ট মিটার স্থাপন শুরু হয়েছিল এবং তারপর থেকে অনেক গ্রাহক সমস্যার কথা জানিয়েছেন। সবচেয়ে বড় অভিযোগ হল, পূর্ব নোটিশ বা নির্দেশ ছাড়াই বৈদ্যুতিক মিটার পরিবর্তন করা হয়েছিল। কর্মকর্তারা যখন তাদের বাড়িতে এসে পুরানো মিটারগুলি নতুন স্মার্ট মিটার দিয়ে প্রতিস্থাপন করেন তখন গ্রাহকরা অবাক হয়ে যান।
অপ্রত্যাশিত রিচার্জ সমস্যা
নতুন স্মার্ট মিটার স্থাপনের পর, অনেক গ্রাহক লক্ষ্য করেন যে তাঁদের রিচার্জ ক্রেডিট খুব দ্রুত উধাও হয়ে যাচ্ছে। স্মার্ট মিটার ব্যবহারের নিয়ম অনুসারে, গ্রাহকদের প্রথমে মোবাইল ফোন রিচার্জ করার মতো মিটার রিচার্জ করতে হবে। সর্বনিম্ন রিচার্জের পরিমাণ ১০০ টাকা।
We hate spam as much as you do