স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালিকা বাড়িতেই ছিল। তাঁর মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা নামাজ পড়তে বাড়ির কাছেরই একটি মসজিদে যান। সেই সময় মাদকাসক্ত চারজন মুখে গামছা বেঁধে এসে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে দেখেন মেয়েটি নেই। কিন্তু রাত বাড়ার পরও মেয়েকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে নাবালিকার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাঁকে।
মালদায় নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টা, মুখে গামছা বেঁধে বাড়ি থেকেই তুলে নেওয়ার অভিযোগ
ঠিক যেন হাঁসখালির ঘটনার পুনরাবৃত্তি। আবারও বাংলায় গণধর্ষণের চেষ্টা। অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মাদক খাইয়ে গণধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ। মালদার ঘটনা। নাবালিকা ওই ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে বলে খবর। পুলিশের কাছে অভিযোগ না জানানোর জন্য ওই নাবালিকার পরিবারকে চাপ দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
পরশু অর্থাৎ ১৯ তারিখ রাতের ঘটনা। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে খবর, অষ্টম শ্রেণির ওই নাবালিকা বাড়িতেই ছিল। তাঁর মা-বাবা এবং পরিবারের অন্য সদস্যরা নামাজ পড়তে বাড়ির কাছেরই একটি মসজিদে যান। সেই সময় মাদকাসক্ত চারজন মুখে গামছা বেঁধে এসে মেয়েটিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। অন্যদিকে, পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে এসে দেখেন মেয়েটি নেই। কিন্তু রাত বাড়ার পরও মেয়েকে বাড়িতে দেখতে না পেয়ে নাবালিকার বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে তাঁকে।
এরপর অনেকটা সময় কাটার পর নির্যাতিতাকে মাদকাসক্ত অবস্থায় বাড়ির সদস্যরা আমবাগানের সামনে খুঁজে পায়। সেই অবস্থাতেই মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে আসতে-আসতেই অচৈতন্য হয়ে পড়ে সে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মেয়েটির মুখ থেকে মাদকের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। এরপর নাবালিকাকে সুশ্রসা করার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে গেলেই ধীরে-ধীরে বিষয়টি প্রকাশ পায়। গোটা ঘটনা জানতে পারে পরিবার।
নির্যাতিতা নাবালিকার কাকীমা বলেন, “আমরা নামাজ পড়তে বাইরে গেছিলাম। এসে দেখি ও নেই। এরপর সবাই মিলে খুঁজতে শুরু করি। অনেক রাতে একটি আমগাছের তলা থেকে ওকে খুঁজে পাই। তখনও ওর মুখ দিয়ে মাদকের গন্ধ বেরোচ্ছিল। এরপর স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওর জ্ঞান ফেরে তখন আমাদের বলে যে আমরা চলে যাওয়ার পর ও ঘুমোচ্ছিল। তখন গামছা মুখে বেঁধে চারজন বাড়িতে ঢোকে। এরপরহ ওকে ভয় দেখিয়ে মুখ চেপে ধরে তুলে নিয়ে যায়। তখনই ওর সঙ্গে নোংরা ঘটনা ঘটায়। আমরা চার জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।”
ঘটনার খবর জানতে পারার পর বুধবার নাবালিকার পরিবার থানায় অভিযোগ জানাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু অভিযোগ, গ্রামের কয়েকজন মাতব্বর যারা নিয়মিত ভাবে সালিশি করে তারা এসে নির্যাতিতার পরিবারকে বোঝানোর চেষ্টা করে যাতে কোনও ভাবে তাঁরা থানায় না যান। তবে, এই ক্ষেত্রে পুলিশি তৎপরতা যথেষ্ঠ প্রশংসনীয়। ইতিমধ্যে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাকি দু’জনের খোঁজে চলছে তল্লাশি।
We hate spam as much as you do