Tranding

12:38 PM - 01 Dec 2025

Home / Other Districts / দেউচা পাঁচামী আসলে একটা দুর্নীতি, চাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত : সেলিম

দেউচা পাঁচামী আসলে একটা দুর্নীতি, চাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত : সেলিম

সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘মমতা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষণা করলো এই প্রকল্পের। যা বলেছে সব মিথ্যে। এই কয়লা খনির বরাদ পেয়েছে wbpdcl কে প্ল্যান জমা দিতে হবে ২১ মাসের মধ্যে। আজ পর্যন্ত তা হয়নি। wbpdcl হাইকোর্টে যা বলেছে তাতে স্পষ্ট হচ্ছে কতটা দুর্নীতি আছে। পরিবেশের সমীক্ষা ছাড়পত্র দরকার প্রকল্পের জন্য। সেখানেও দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১২ একর দিয়ে শুরু হবে তারপর ধীরে ধীরে তার ৪৪১ একর হবে। আইন অনুযায়ী ৫০ একরের বেশি হলে সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে করতে হবে সমীক্ষা। টেন্ডার যা ডাকা হয়েছে সেখানেও সমস্যা। দর দেওয়া নেই সেখানে। যাদের দেওয়া হলো তারা লজিস্টিকস এর কাজ করে। এদের কোন অভিজ্ঞতা নেই এই বিষয়। তাহলে তাদের কেন দেওয়া হলো?’’

দেউচা পাঁচামী আসলে একটা দুর্নীতি, চাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত : সেলিম

দেউচা পাঁচামী আসলে একটা দুর্নীতি, চাই বিচার বিভাগীয় তদন্ত : সেলিম


  03 Jul 2025  
 

‘‘দেউচা পাঁচামীর কয়লা খনি প্রকল্প আসলে একটা দুর্নীতি। এই দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি।’’ বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম)’এর রাজ্য সদর দপ্তরে সাংবাদিক সম্মেলনে বললেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
তিনি বলেন, ‘‘২০২৩-এর নভেম্বর মাসে রাজ্য মন্ত্রিসভা বিদ্যুৎ দপ্তরের প্রস্তাব অনুযায়ী WBPDCL-কে বেসরকারি সংস্থা বাছাই করে দেউচা-পাঁচামিতে ৪৩১.৪৭ একর জমিতে ব্যাসল্ট খনন করে সেটা বাজারে বিক্রি করার অনুমতি দেয়। বিদ্যুৎ উৎপাদনের সরকারি সংস্থার মাধ্যমে ব্যাসল্ট খনন বিক্রি করার অনুমতি প্রদানের কোন যুক্তিপূর্ণ ভিত্তি নেই। ২০২৪-এর মার্চ মাসে WBPDCL-এর মাধ্যমে ব্যাসল্ট খননের জন্য খনি নির্মাণ ও পরিচালনা করার বেসরকারি সংস্থা (MDO) Trancemarine and Confreight Logistics Private Limited-কে বাছাই করার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গরমিল। ২০২৪-এর অক্টোবর মাসে দেউচা-পাঁচামিতে ১২ একর জমিতে ব্যাসল্ট খনি প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক যে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়, তাতে ব্যাসল্ট খনির আয়তন ইচ্ছাকৃত ভাবে কম করে দেখানো হয়।’’ 
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘মমতা বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে ঘোষণা করলো এই প্রকল্পের। যা বলেছে সব মিথ্যে। এই কয়লা খনির বরাদ পেয়েছে wbpdcl কে প্ল্যান জমা দিতে হবে ২১ মাসের মধ্যে। আজ পর্যন্ত তা হয়নি। wbpdcl হাইকোর্টে যা বলেছে তাতে স্পষ্ট হচ্ছে কতটা দুর্নীতি আছে। পরিবেশের সমীক্ষা ছাড়পত্র দরকার প্রকল্পের জন্য। সেখানেও দুর্নীতি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ১২ একর দিয়ে শুরু হবে তারপর ধীরে ধীরে তার ৪৪১ একর হবে। আইন অনুযায়ী ৫০ একরের বেশি হলে সেন্ট্রাল এজেন্সি দিয়ে করতে হবে সমীক্ষা। টেন্ডার যা ডাকা হয়েছে সেখানেও সমস্যা। দর দেওয়া নেই সেখানে। যাদের দেওয়া হলো তারা লজিস্টিকস এর কাজ করে। এদের কোন অভিজ্ঞতা নেই এই বিষয়। তাহলে তাদের কেন দেওয়া হলো?’’ 
সেলিম বলেন, ‘‘কয়লা নয় আসল লক্ষ্য পাথর। ২০২৪-এর মার্চ মাসে WBPDCL-এর মাধ্যমে ব্যাসল্ট খননের জন্য খনি নির্মাণ ও পরিচালনা করার বেসরকারি সংস্থা (MDO) Trancemarine and Confreight Logistics Private Limited-কে বাছাই করার টেন্ডার প্রক্রিয়ায় গরমিল। ২০২৪-এর অক্টোবর মাসে দেউচা-পাঁচামিতে ১২ একর জমিতে ব্যাসল্ট খনি প্রকল্পের জন্য কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রক যে পরিবেশগত ছাড়পত্র দেয়, তাতে ব্যাসল্ট খনির আয়তন ইচ্ছাকৃত ভাবে কম করে দেখানো হয়। ২০২৫-এর ৫ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে কয়লা খনি প্রকল্প শুরু করার ঘোষণাটি ছিল সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর, কারণ আজ পর্যন্ত কয়লা খননের জন্য খনির লিজ বা মাইনিং প্ল্যান কেন্দ্রীয় কয়লা মন্ত্রকে জমা করা হয়নি। ২০২৫-এর ফেব্রুয়ারি মাস থেকে দেউচা-পাঁচামিতে আসলে যা শুরু হয়েছে তা একটি স্বতন্ত্র ব্যাসল্ট খনি প্রকল্প, যেখানে MDO বাছাই করার এবং প্রকল্পের পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়ার প্রক্রিয়া ছিল অনিয়মে ভরা।’’
তিনি বলেন, ‘‘২০২৫-এর এপ্রিল মাসে Trancemarine Confreight Logistics Private Limited কোম্পানিকে যেভাবে Himadri Speciality Chemical Ltd নামক বৃহৎ কর্পোরেট সংস্থা অধিগ্রহণ করেছে তা WBPDCL-এর টেন্ডারের শর্তাবলি উল্লঙ্ঘন করেছে। Himadri মাত্র ৪.২৩ কোটি নগদ ও ১৫০ কোটি ঋণ দেওয়ার বিনময়ে প্রায় ১৫০০ কোটি টাকা মুনাফার প্রকল্প হাতিয়ে নিয়েছে।’’
সেলিম বলেন, ‘‘কয়লা খনির জন্য কোন টেন্ডার জমা পড়েনি। এপ্রিল পর্যন্ত এই আগ্রহ দেখায়নি। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা আসলে মিথ্যে। টেন্ডার কাগজে লেখা আছে প্রকল্প চলাকাইন মালিকানা বদলানো যাবে না। কিন্তু দেখা গেলো যে টেন্ডার পেলো তাকে হিমাদ্রী খেমিকাল কোন নিলো?’’
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক বলেন, ‘‘পরিবেশ সংক্রান্ত আইনকে লঙ্ঘন করেছে। টেন্ডার দুর্নীতি করেছে। খনি বরাদ্দ চুক্তিকে লঙ্ঘন করেছে। এই দুর্নীতির বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার এখানে তার ভূমিকা পালন করছে না। বিজেপির প্রশ্রয় এই কাজ হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইন না মেনে কাজ হচ্ছে। পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। স্থানীয় মানুষদের ঠকানো হচ্ছে। যেই আধিকারিক দপ্তর এই কাজ করছে তাদের বিরুদ্ধে বেবস্থা নিতে হবে। কাজ বন্ধ রেখে মানুষের কাছে আসল তথ্য তুলে ধরতে হবে।’’

Your Opinion

We hate spam as much as you do