Tranding

01:17 PM - 01 Dec 2025

Home / Others / করোনায় সর্বনাশ রুখতে "সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই।"  আজ বিকেল ৪টে কমিশনের ভার্চুয়াল বৈঠক

করোনায় সর্বনাশ রুখতে "সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই।"  আজ বিকেল ৪টে কমিশনের ভার্চুয়াল বৈঠক

বৃহস্পতিবার দেশে এক দিনেই   ৩,১৪,৮৩৫ জন নতুন করে কোভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন। গত এক বছরে যে কোন দেশের এক দিনের সংক্রমণের এটিই হচ্ছে সর্বাধিক সংখ্যা। জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী এক দিনের সংক্রমণের হিসেবে ভারতের পরই যুক্তরাষ্ট্রের স্থান। এখানে ২রা জানুয়ারি সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩,০০,৩১০।

করোনায় সর্বনাশ রুখতে "সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই।"  আজ বিকেল ৪টে কমিশনের ভার্চুয়াল বৈঠক

করোনায় সর্বনাশ রুখতে "সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই।"  আজ বিকেল ৪টে কমিশনের ভার্চুয়াল বৈঠক

দেশজুড়ে করোনার দ্বিতীয়  ঢেউয়ে কার্যত ভেসে চলেছে দেশের মানুষ। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার দেশে এক দিনেই   ৩,১৪,৮৩৫ জন নতুন করে কোভিড ১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন। গত এক বছরে যে কোন দেশের এক দিনের সংক্রমণের এটিই হচ্ছে সর্বাধিক সংখ্যা। জন্স হপকিন্স করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী এক দিনের সংক্রমণের হিসেবে ভারতের পরই যুক্তরাষ্ট্রের স্থান। এখানে ২রা জানুয়ারি সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৩,০০,৩১০।

দেশের স্বাস্থ্য পরিচর্যা ব্যবস্থা প্রায় ভেঙ্গে পড়েছে, হাসপাতালগুলোতে তিল ধারণের জায়গা নেই এবং অক্সিজেন সিলিন্ডারের মারাত্মক অভাব রয়েছে। অক্সিজেনের অভাব এতটাই মারাত্মক যে রাজধানী দিল্লির হাই কোর্ট সরকারকে অক্সিজেনের ব্যবহার শিল্প ক্ষেত্র থেকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে বলছে। নতুন দিল্লির হাসপাতালের একটি আবেদনের জবাবে বিচারকরা বলেন অক্সিজেন, “ ভিক্ষা করুন, ধার করুন কিংবা চুরি করুন”। এই নিয়ে এক নাগাড়ে অষ্টম দিন  করোনাভাইরাসের দৈনিক  সংক্রমণের সংখ্যা দু লক্ষের বেশি।

দেশে স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছেন, আজ বৃহস্পতিবার সেখানে ২,১০৪ জন মারা গেছেন এবং সেখানে করোনায় এ পর্যন্ত মোট প্রাণহানির সংখ্যা ১,৮৪,৬৫৭ জন। 

গোটা দেশের পাশাপাশি বাংলাতেও ছবিটা এক। এখানেই দৈণিক সংক্রমণ কার্যত ১০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতেও বঙ্গে চলছে বিধানসভা নির্বাচন। এখনও বাকি দুই দফার ভোট। সে ভোট একসঙ্গে করতে চেয়ে ফের নতুন করে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে তৃণমূল। একই সঙ্গে ভোট করার আবেদন বিরোধী দলগুলিও জানিয়েছে।

কমিশন জরুরি বৈঠক করবে

 নির্বাচন কমিশনের ওপর চাপ বাড়ছে।   শুক্রবার জরুরি বৈঠকে বসছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। করোনা আবহে কীভাবে সম্পন্ন হবে বাংলার ভোট? সূত্রের খবর, মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠকে সেই নিয়েই আলোচনা হতে পারে। কমিশন সূত্রে খবর, শুক্রবার বিকেল ৪টের সময় ভারচুয়াল বৈঠকে বসবে কমিশন। তাতে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিকরা। থাকবেন সিইও। এছাড়া দুই পর্যবেক্ষককেও উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। করোনা আবহে দুই দফার ভোট কি একদফাতেই সম্পন্ন করা হবে? মনে করা হচ্ছে, সেই নিয়ে হয়তো আলোচনা করবে কমিশন।

শেষ দফার নির্বাচনের আগে কড়া কমিশন

ষষ্ঠ দফার নির্বাচন শেষ হয়েছে। বাকি আর দুদফার নির্বাচন। আর সেই দফার নির্বাচন করতে কোভিড বিধি কড়া ভাবে মানতে হবে। কি করা যাবে আর কি করা যাবে না সেই সংক্রান্ত বিধি জারি করল কমিশন। এখন থেকে ৫০০ জনের বেশি লোককে নিয়ে আর সভা করা যাবে না। এছাড়াও আগে থেকে যে সভার জন্যে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল তাও বাতিল করা হল। এছাড়াও যে কোনও ধরনের সাইকেল র‍্যালি, রোড শো, পদ যাত্রা করা যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন।

মহামারী, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি
ইতিমধ্যে বাংলায় দৈনিক সংক্রমণ ১০ হাজার পার করে গিয়েছে। কিন্তু এখনও রাজ্যে প্রচার চলছে! কিন্তু কী ভাবে রাজনৈতিক দলগুলি হাজার হাজার লোকজন জড়ো করে ভোট প্রচার করছে তা নিয়ে কার্যত এদিন হতবাক আদালত। নির্বাচন কমিশনকে তুলোধনা করে কলকাতা হাইকোর্ট। যদিও এরপরেই জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, কোনও রাজনৈতিক দলের প্রার্থী কিংবা রাজনৈতিক দল প্রচার চলাকালীন যদি কোভিড বিধি মাণতে না পারে তাহলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইন এবং মহামারী আইনে মামলায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রয়োজনে আমরা টি এন শেসনের কাজ করব।
প্রধান বিচারপতি টিবি এন রাধাকৃষ্ণণ নির্বাচন কমিশনের ভূমিকাতে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করে পর্যবেক্ষণে বলেন , করোনা রুখতে এই মুহূর্তে কমিশনের ভূমিকা অত্যন্ত কঠোর হওয়া উচিৎ ছিল। অথচ তারা সার্কুলার জারি করেই থেমে গিয়েছে। কোনও পদক্ষেপের চিন্তাভাবনাই নেই। প্রধান বিচারপতির কথায়, "সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই।" একই সঙ্গে আদালতের আরও পর্যবেক্ষণ, এই সময় টি এন শেসনের দশ ভাগের একভাগ করে দেখাক কমিশন। টি এন শেসনের কিছুই করছে না কমিশন। শুধু একটা সার্কুলার দিয়ে জনগণের ওপর সব ছেড়ে দিয়েছে কমিশন। পুলিশ, ক্যুইক রেসপন্স টিম সব আপনাদের আছে। তাও কেন সেসবের ব্যবহার করছেন না?" তিনি বলেন, "সার্কুলার নয় আমরা কমিশনের কাছে পদক্ষেপ চাইছি। আমরা অর্ডার দিতে পারছি না কারণ রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি কোর্টে নেই। প্রয়োজনে আমরা টি এন শেসনের কাজ করব", এভাবেই নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা  করেন প্রধান বিচারপতি। এরপরেই কার্যত নির্বাচন কমিশন নড়ে চড়ে বসে।

 

Your Opinion

We hate spam as much as you do