উপাচার্যের সামনে পড়ুয়ারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিশ্বভারতী নোটিস দিয়ে আজ থেকে ফের ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছিল
উত্তপ্ত বিশ্বভারতীতে ভর্তি প্রক্রিয়া ও কাউন্সেলিং শুরু হল, ছাত্র বিক্ষোভ চলছে
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এস এফ আই এর নেতৃত্বে উপাচার্যর বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা...
৩ পড়ুয়াকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে, উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিল ছাত্র-ছাত্রীরা
বিশ্বভারতীতে পড়ুয়াদের এই বিক্ষোভ আন্দোলন অব্যাহত। এর মধ্যেই হাইকোর্টের নির্দেশের পর, আজ থেকে বিশ্বভারতীতে ফের শুরু হচ্ছে ভর্তি প্রক্রিয়া ও কাউন্সেলিং।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অচলাবস্থা নিয়ে আদেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট , কোনও বিক্ষোভ করা যাবে না। ক্যাম্পাসে স্বাভাবিক ছন্দ ফেরাতে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। সেই মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার একগুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উপাচার্যের সামনে পড়ুয়ারা অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করায়, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায় ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ। গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশের পর বিশ্বভারতী নোটিস দিয়ে আজ থেকে ফের ভর্তি প্রক্রিয়া ও ফল প্রকাশের কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছিল। আদালতের নির্দেশে গতকাল উপাচার্যের বাড়ির গেটের তালা ভেঙেছে পুলিশ। সরানো হয় পড়ুয়াদের অবস্থান-মঞ্চ।
আদালতের নির্দেশের পর, উপাচার্যর বাড়ি থেকে ৫০ মিটার দূরে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন পড়ুয়ারা।
এই রাজ্যের বহু বিদ্বজন ও শিক্ষক ছাত্রদের এই আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন। আজ আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সমর্থনে বোলপুরের ডাকবাংলো মোড় থেকে মিছিল করবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ।
শুধু বিজেপির পক্ষ থেকে দিলীপ ঘোষ এই আন্দোলনের বিরোধিতা করেছেন।
অচলাবস্থা কাটাতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদিন বিশ্বভারতীর অবস্থান-বিক্ষোভ নিয়ে পর্যবেক্ষণে বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বলেন, এটা কোনও ট্রেড ইউনিয়ন নয়, এটা ছাত্র সংগঠন।
এদিকে উপাচার্যের নিরাপত্তার জন্য ৩ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করতে হবে। চালু করতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে থাকা সমস্ত সিসি ক্যামেরা। কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে শান্তিনিকেতন থানাকে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট।
আদালতের রায়ের পরই, শুক্রবার দুপুরে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নিরাপত্তায় ৩ জন পুলিশ কর্মীকে নিয়োগ করা হয়। খুলে নেওয়া হয়, উপাচার্যের বাড়ির সামনে থাকা অবস্থান-মঞ্চ। খোলা হয় ফ্লেক্স-পোস্টার। অবস্থান-মঞ্চ পঞ্চাশ মিটার দূরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ভাঙা হয় উপাচার্যের বাড়ির গেটের তালা।
We hate spam as much as you do