Tranding

05:12 PM - 01 Dec 2025

Home / World / ফ্রান্সে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার প্রায় ৩০০

ফ্রান্সে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার প্রায় ৩০০

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার সম্প্রতি পেনশন সংস্কার আইন পাশ করেছে। যেখানে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সারা দেশের শ্রমিক, ছাত্র এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। প্রতিবাদকারীরা মনে করছেন, এই আইন শ্রমজীবীদের অধিকার খর্ব করবে এবং কর্মজীবনের চাপ বাড়িয়ে দেবে।

ফ্রান্সে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার প্রায় ৩০০

ফ্রান্সে সরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার প্রায় ৩০০
  

১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

নতুন পেনশন সংস্কার আইনের প্রতিবাদে ফ্রান্সে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। ‘ব্লক এভরিথিং’ নামে শুরু হওয়া আন্দোলন থেকে প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর ডাকা এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে রাস্তা, রেললাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ভবন অবরোধ করা হয়েছে।


ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার সম্প্রতি পেনশন সংস্কার আইন পাশ করেছে। যেখানে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত সারা দেশের শ্রমিক, ছাত্র এবং বিরোধী দলগুলোর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করে। প্রতিবাদকারীরা মনে করছেন, এই আইন শ্রমজীবীদের অধিকার খর্ব করবে এবং কর্মজীবনের চাপ বাড়িয়ে দেবে।

প্রতিবাদের অংশ হিসেবে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিক্ষোভকারীরা বিভিন্ন শহরে রাস্তা, সেতু এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক কেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দেন। প্যারিস, মার্সেই, লিয়োঁ এবং অন্যান্য বড় শহরের কেন্দ্রগুলোতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে, আবর্জনা স্তূপ করে এবং পুলিশের সঙ্গে সরাসরি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। কিছু স্থানে দোকানপাট ও সরকারি ভবনে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ টিয়ার গ্যাস, জল কামান এবং রাবার বুলেট ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সহিংসতা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।


অন্যদিকে, শ্রমিক ইউনিয়নগুলো সরকারের এই দমন-পীড়নের তীব্র নিন্দা জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, যদি সরকার এই আইন প্রত্যাহার না করে, তাহলে আন্দোলন আরও জোরালো হবে। তারা আগামী দিনে আরও বড় কর্মসূচির ঘোষণার সতর্কতা দিয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ফ্রান্সে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। এ আন্দোলন পরিস্থি আরও অস্থিতিশীল করে তুলেছে। যা সরকারের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।

বিক্ষোভকারীর প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর পদত্যাগ চেয়েছেন। আস্থাভোটে হেরে ফ্রাঁসোয়া বায়রু প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সেবাস্টিয়েন লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। তাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে ফ্রান্সের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোও এক হয়েছে।

Your Opinion

We hate spam as much as you do