বাংলাদেশের সেনাকে সাহায্যের বার্তা দেয় আমেরিকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন সেনার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল জোয়েল পি। ওই সময়ে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে ওই বৈঠক প্রসঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়।
চিন না USA? কে পাশে? ইউনূসের চিন সফর আর ঢাকায় শীর্ষ মার্কিন সেনা জেনারেল
29 Mar 2025,
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস বর্তমানে চিন সফরে আছেন। অন্যদিকে, একজন শীর্ষ আমেরিকান সামরিক কর্মকর্তা ঢাকায় পৌঁছেছেন। আঞ্চলিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্ব বিবেচনা করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের সামরিক হার্ডওয়ার সরবরাহে আগ্রহ দেখিয়েছে। বর্তমানে মার্কিন সেনাবাহিনীর ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল ঢাকায় গিয়েছিলেন।
বাংলাদেশের সেনাকে সাহায্যের বার্তা দেয় আমেরিকা। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন সেনার প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল জোয়েল পি। ওই সময়ে বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ়-জ়ামানের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে বুধবার ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস থেকে ওই বৈঠক প্রসঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। বিবৃতিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের সামরিক চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের। পাশাপাশি যে সব ক্ষেত্রে আমেরিকা সাহায্য করতে পারে, সেগুলি নিয়েও আলোচনা হয়েছে তাঁদের। ঘটনাচক্রে বুধবারই বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস চিন সফরে গিয়েছেন। একই দিনে বাংলাদেশ সেনাকে সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মার্কিন দূতাবাসও বিবৃতি প্রকাশ করেছে।
ঢাকায় আমেরিকার দূতাবাস জানিয়েছেন, মার্কিন সেনার জেনারেল জোয়েল বাংলাদেশের সেনার সঙ্গে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার বিষয়ে আলোচনা করেছেন। নিরাপত্তাজনিত ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলা এবং অন্য অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংক্রান্ত ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনার ভূমিকারও প্রশংসা করেছে আমেরিকা। আঞ্চলিক স্থিতাবস্থা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বের কথাও বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে মার্কিন দূতাবাস।
এতে বলা হয়েছে যে তারা যৌথ নিরাপত্তা স্বার্থ এবং চলমান সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে আন্তঃকার্যক্ষমতা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য মার্কিন-উৎস সরঞ্জামের সক্ষমতা বৃদ্ধিও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ভওয়েল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীরও প্রশংসা করেন।
কী আলোচনা হয়েছে?
রাষ্ট্র পরিচালিত বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (BSS) জানিয়েছে যে মার্কিন জেনারেল অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অব্যাহত সমর্থনের কথা স্বীকার করেছেন। BSS জানিয়েছে, "সফরের সময় লেফটেন্যান্ট জেনারেল ভওয়েল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা করেন। তিনি সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার উজ জামানের সঙ্গেও কথা বলেন।"
এতে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ বাংলাদেশের প্রাথমিক সামরিক চ্যালেঞ্জ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন ক্ষেত্রগুলিতে সহায়তা প্রদান করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করেছে। এই সফরের মূল লক্ষ্য ছিল ২০২৫ সালের গ্রীষ্মে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া আসন্ন 'এক্সাসাইজ টাইগার লাইটনিং।' ভওয়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কমান্ড (USINDOPACOM) এর J5/স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান এবং নীতির ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেলও, যা প্রতিরক্ষা বিভাগের ইউনিফাইড কমান্ড প্ল্যান (UCP) দ্বারা সংজ্ঞায়িত ছয়টি ভৌগোলিক যোদ্ধা কমান্ডের মধ্যে একটি। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনা ক্ষমতা থেকে উৎখাতের পর ওয়াভেলের ঢাকা সফর হলো একজন বরিষ্ঠ মার্কিন জেনারেলের প্রথম এ ধরনের সফর।
We hate spam as much as you do